প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। আন্তঃনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিটের মূল্য ৪৬৫ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট এখন ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আরো পড়তে ক্লিক করুনঃ
উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা চড়া দামে এসব টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে করোনালগ্নে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সংখ্যা ৫০ শতাংশ। পঞ্চগড় থেকে ঢাকামুখী আসন শোভন চেয়ার ৮১টি, এসি চেয়ার ৬টি, স্নিগ্ধা ৮টি। ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকামুখী শোভন চেয়ার ৫৮টি, এসি ৪টি, স্নিগ্ধা ৫টি। দিনাজপুর থেকে ঢাকামুখী শোভন চেয়ার ৯০টি, এসি চেয়ার ৬টি, স্নিগ্ধা ১০টি।
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চগড়-ঢাকা রেলপথের জন্য ১টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। রেলের টিকিট অনলাইনে ওপেন হওয়ার সাথে সাথেই খবর পাচ্ছে কালোবাজারিরা।
টিকিট আগে থেকেই প্রতিদিন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে কেটে নিচ্ছে কালোবাজারিরা। পরে বিভিন্ন কারসাজিতে অতিরিক্ত দামে এসব টিকিট চড়া দামে বিক্রি করছে।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, গন্তব্যের উদ্দেশ্যে প্লাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন শত শত যাত্রী। বেশিরভাগ যাত্রীদের কাছে ট্রেনের টিকিট নেই। যাদের কাছে টিকিট রয়েছে, তারাও কিনেছেন চড়া দামে।
দিনাজপুর শহরের লালবাগ এলাকার রাসেল বলেন, টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। আমি একটা টিকিট কিনেছি ২ হাজার টাকায়। এই টিকিটের মূল্য দেয়া আছে ৪৬৫ টাকা। চাকরি বাঁচানোর তাগিদেই এই টিকিট কিনেছি আমি।
রিকশাচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইন কি আমি বুঝি না। এখানে আসার পর এক টিকিটের দাম কেউ ১৫’শ টাকা চায়, আবার কেউ ২ হাজার টাকা চায়। আমার এতো টাকা দিয়ে টিকিট কেনার মতো সাধ্য নাই। তাই আমি ঢাকা যাওয়া বাতিল করে বাড়িতে ফিরে গেলাম।
সদরের ৯ নং আস্করপুর ইউনিয়ন এলাকার রমেশ মন্ডল জানান, সব টিকিট কালোবাজারিরা অনলাইনে কিনে রাখে। আমরা কেনার সুযোগই পাই না। শুক্রবার থেকে আমাদের ঈদের ছুটি শেষ। তাই আমাদের ঢাকায় যেতেই হবে। বাধ্য হয়ে আমরা ৪৬৫ টাকার টিকিট ২ হাজার টাকায় কিনলাম।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপারেন্ডেন্ট এ.বি.এম জিয়াউর রহমান বলেন, ট্রেনের টিকিটতো অনলাইনে বিক্রি হয়। তাই আমাদের এখন আর কিছু করার নেই। যদি কেউ প্লাটফর্মে এসে টিকিট বিক্রি করে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবো।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন