প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ টেকনাফে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ৭ আসামির কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার (১৯ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, পুলিশের করা তিনটি মামলার আলামত বুঝে নেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশের জব্দ করা সিনহার সহযোগী শিপ্রার ২৯টি ডিভাইস বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) আমরা গ্রহণ করবো।
এর আগে, সাবেক মেজর সিনহার সহাযোগী শিপ্রা দেবনাথের জব্দকৃত মালামাল র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। এগুলো মধ্যে রয়েছে- মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ ২৯ ধরনের মালামাল।
গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে কক্সবাজার যান। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকেও আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
শিপ্রা দেবনাথ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার বেশকিছু আপত্তিকর ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তার অভিযোগ, রামু থানায় সংরক্ষিত ডিভাইস থেকেই এসব ছবি ভিডিও বাইরে ছড়ানো হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
এদিকে ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এছাড়া বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে সবগুলো মামলা তদন্তের দায়িত্ব র্যাবকে দেন বিচারক।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন