প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় এবার নতুন উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম বসাচ্ছে লালবাজার । এর মাধ্যমে সমস্ত এলাকায় ঘরে বসেই মানুষ প্রশাসনের বার্তা শুনতে পাবেন।
বুধবার কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের শহরে কলকাতা পুলিশের লড়াই চলছে নিরন্তর। করোনা-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রচার লাগাতার চলছে কলকাতার এ মাথা থেকে ও মাথা।
পাশাপাশি চলছে নাকা-চেকিং, লকডাউন বিধি ভেঙে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরলে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। জারি আছে দুঃস্থ অভুক্ত মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা, বয়স্ক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস। এবং রাস্তার ক্ষুধার্ত চতুষ্পদদের অভুক্ত থাকতে না দেওয়ার উদ্যোগও।
এদিন দুপুর বারোটা পর্যন্ত শহরে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩৭ জনকে। লকডাউন লঙ্ঘন করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক না পরায় ৬২ জন গ্রেফতার। গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৪টি।
এবার আরও কড়া কলকাতা পুলিশ৷ করোনা মোকাবিলায় লক ডাউনই মানতেই হবে৷ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ৷
রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ট্যুইট করে বলেন, ‘অফিসারদের বলেছি লক ডাউন না মানলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে।’
এদিকে লকডাউন পুরোপুরি লাগু করতে কলকাতা পুলিশের অধীনস্ত সমস্ত ডিভিশনেই মোতায়েন ‘কমব্যাট ফোর্স’৷ বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ফোর্সকে শহরের ন’টি ডিভিশনে মোতায়েন করা হয়েছে৷ লোকাল থানা ও প্রশাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করবে এই বাহিনী৷
জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি ডিভিশনে ডিসি’র নেতৃত্বে থাকছে ৬ থেকে ৮ জন করে সশস্ত্র জওয়ান৷ ফাইবারের লাঠি-ঢাল, সেমি-অটোম্যাটিক রাইফেলে সজ্জিত এই জওয়ানরা ‘রায়ট কন্ট্রোল’ বা উন্মত্ত জনতাকে সামলাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
অভিযোগ, কলকাতার বেশ কিছু অংশে লকডাউন মানা হচ্ছে না৷ অযথা রাস্তায় বেরোচ্ছেন বহু মানুষ৷ বাজারগুলিতেও ভিড় করা হচ্ছে৷ সেই সব এলাকায় এবার টহল দেবে কমব্যাট ফোর্স৷
দৈনিক প্রত্যয়/জাহিরুল মিলন