কক্সবাজার সংবাদাতা:বান্দরবান জেলার আলীকদমে উপজেলায় বিক্ষোভের মুখে ইউএনডিপির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত।আজ ২১ আগস্ট বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নে স্থানীয় জনগণের তিব্র বাধার সম্মুখীন হয়ে শুক্রবার সকালে ইউএনডিপির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। জানা গেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা ত্রাণের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ করে এবং ত্রাণবাহি গাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চাইলে ত্রাণ বিতরণ স্থানে জড়ো হয়ে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয় পরে বিক্ষুব মিছিল বের করে।
উল্লেখ্য যে করোনাকালীন সময়ে বান্দরবানের ক্ষতিগ্রস্ত ৪৬ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে জাতীসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউএনডিপি কর্তৃক ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আলীকদম উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ হাজার ৬০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরী করা হয়। এরমধ্যে নয়াপাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৫৮ পরিবারের যে তালিকা করা হয় তাতে অনিয়ম ও জাতীগত বৈষম্যের দাবী তুলে স্থানীয় জনগণ ত্রাণ বিতরণস্থল নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় বিক্ষোভ শুরু হয়। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াইচাহ্লা মার্মা, ইউএনডিপির ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানেজার খুশিরায় ত্রিপুরা, ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা ও ইউপি মেম্বারগণ। এই ৪ ঘন্টার বিক্ষোভের পর আলীকদম সেনা জোনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিত সম্পূর্ণ রুপে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে তালিকার অনিয়ম সংশোধন পূর্বক নয়াপাড়া ইউনিয়নের ত্রাণসমুহ আগামী ২২ আগষ্ট শনিবার ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর সত্যাতা যানতে চাইলে বিক্ষোভের বিষয়ে নয়াপাড়া ইউনিয়নের সদস্য ইছহাক আহামদ ও আক্তার আহামদ বলেন, ইউএনডিপির কর্মীরা যে তালিকা প্রণয়ন করেছেন তাতে আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। তালিকায় একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম ও জাতীগত বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা এ তালিকা সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি। বিক্ষোভকারী মোঃ ইলিয়াছ ও ফজল কাদের বলেন, বিগত দিন গুলোতে আলীকদমে ইউএনডিপির সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে জাতীগত বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এই অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফোগ্য মার্মা বলেন, ইউএনপির তালিকা তাদের নিজস্ব কর্মী দ্বারা করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নের অনিয়ম হলে এর দায়ভার ইউনিয়ন পরিষদের নয়। ইউএনডিপির ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার খুশিরায় ত্রিপুরা বলেন, ইউএনপি বান্দরবান জেলায় সাড়ে ৪৬ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের তালিকা প্রণয়নে হয়ত কিছুটা ত্রুটি-বিচ্ছুরিত ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। ভাষ্য মতে পাহাড়ি-বাঙ্গালী মধ্যে বর্ণবৈষম্যের কথা সঠিক নয়।