প্রত্যয় নিউজডেস্ক: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আলী হোসেন মুন্সি (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার হাতের কব্জি কেটে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী,ইয়াবাা ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আলমগীর।
এ সময় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড় মইয়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টার সময় আলী হোসেন মুন্সি অটোরিকশাযোগে পেকুয়াবাজারে যাচ্ছিলেন। মইয়াদিয়া স্টেশনের উত্তর পাশে পৌঁছামাত্র আলমগীর হোসেন আটোরিকশা থামিয়ে তার হাতের কব্জি কেটে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
এ সময় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলী হোসেন মুন্সি পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড়ের সহ-সভাপতি।
এলাকাবাসী আরও জানান, কয়েক মাস আগে আলী হোসেন মুন্সির কলেজপড়ুয়া এক মেয়ে অপহৃত হয়। ওই ঘটনায় বড় ভাই আশ্রাফ মিয়ার ছেলে মো. আলমগীরকেও (৩০) আসামি করে মামলা করেন তিনি। আলমগীর অপহরণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। কয়েক দিন আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
সেই ঘটনার জের ধরে আলমগীর হত্যার উদ্দেশ্য এই নৃশংস কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করেন।আলমগীর এলাকায় চোর-ডাকাত হিসেবে ও পরিচিত।সে একাধিক মামলার আসামী হিসেবে অনেকবার জেল ও কেটেছেন।এলাকাবাসী তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ। এলাকায় রাত নেমে আসার সাথে সাথে বেড়ে যায় আলমগীরের নৃশংস কর্মকাণ্ড।আলমগীর একটি কিশোর গ্যাং ও পরিচালিত করেন।এলাকার সে চিন্হিত ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের খারাপ কর্মকান্ডের সাথে সে জড়িত।পুলিশ অতি দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহণ না করলে সন্ত্রাসীর আতুঁরঘর হিসেবে পরিচিতি পাবে এলাকাটি।জনগনের জিজ্ঞাসা-সেই পলাতক আসামী,মাদক ব্যবসায়ী,কিশোর গ্যাং তৈরির গডপাদার,শীর্ষ সন্ত্রাসী আলমগীর কে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কেন!আর কত ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।নাকি এই ঘটনার পেছনে অন্য কারো হাত রয়েছে?আওয়ামিলীগ এর ত্যাগী নেতা রা কি এভাবে মূল্যায়িত হবে?তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।হামলাকারী একই এলাকার আশরাফ মিয়ার পুত্র আলমগীর ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জোর দাবী জানাচ্ছি।চকরিয়া-পেকুয়ায় দিন দিন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ না দিলে আরো অবস্হা খারাপ হবে।প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ চকরিয়া -পেকুয়াতে অপরাধীদের ধরতে যৌথ অভিযান খুব প্রয়োজন।