নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশি নির্যাতনের পর সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (ট্রেনিং অ্যান্ড মিডিয়া) জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে মামলার বাদী জাকির হোসেন চৌধুরী হাজির হয়ে এ মামলাটি করেন। আদালত এ বিষয়ে বিবাদীর জবাব দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীর ভাই বাচ্চু হোসের গোপালগঞ্জে বেকারির দোকানে করতেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, এসআই গোলাম কিবরিয়া প্রায় সময় দোকানে যাতায়ত করতো। তারা দোকানে মালামাল ক্রয় করে টাকা না দিয়ে চলে যেতেন। একদিন এসআই গোলাম কিবরিয়া ও সোর্স প্রবাল বিশ্বাস এসে কপি খেতে চায়। এসময় বাচ্চু মিয়া কপির পানি গরম নেই বলে তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর গত ৭ মে প্রবাল বিশ্বাস তার দোকানে এসে চা খেয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে প্রবাল বিশ্বাস দোকানে এসে বাচ্চুকে বলেন, তোমার দোকানে একটি ব্যাগ ফেলে রেখেছি।
যাতে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিল। তা তুমি কী পেয়েছ? তখন বাচ্চু ব্যাগ পাইনি বলে জানান। এরপর এসআই গোলাম কিবরিয়া তাকে থানায় নিয়ে মারধর করে সাদা কাগজে সই নিয়ে ছেড়ে দেয়। সে থানা থেকে গিয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর হাসপাতাল থেকে ১৬ মে রিলিজ নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের নির্যাতনের বিবরণ নিয়ে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর তদন্তের জন্য মামলার আসামি জিয়াউল হককে দেন। এরপর তদন্ত শেষে তিনি অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাদীর অভিযোগ তার এ ধরনের প্রতিবেদনে ভিকটিমের পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তার এ ধরনের প্রতিবেদন শুধু দোষীদের রক্ষা করা নয় বরং বাদীর সুনামকে চরমভাবে ক্ষতি করেছে। যা তার অধিকার নেই। প্রতিবেদনে তার বক্তব্য মানহানীকর।
ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতি হয়েছে বাদীর যা অপূরণীয়। পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাহিদার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে পুলিশের সোর্সদের দিয়ে মিথ্যা একটি মামলা করেন আসামিরা। নির্যাতনের পরও পুলিশ বাচ্চুর বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিবেদন না দেওয়ায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তার ভাই জাকির হোসেন। ওই ঘটনায় বাচ্চুর ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে আদালতের মামলাটি দায়ের করেন।