প্রত্যয় নিউজডেস্ক: স্বপ্নের মতো সময় কাটছিল জার্মান জায়ান্ট ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের। নিজেদের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বুন্দেসলিগা, লিগ কাপ ডিএফবি পোকাল জয়ের পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে পূরণ করেছিল ট্রেবল। সবশেষ গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উয়েফা সুপার কাপেও তারা হারিয়েছে সেভিয়াকে।
সবমিলিয়ে রীতিমতো উড়ছিল বর্তমান ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। বুন্দেসলিগার নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তারা শালকের বিপক্ষে জিতেছিল ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। পরে সেভিয়ার বিপক্ষে সুপার কাপের জয়টি ছিল তাদের টানা ২৪তম জয়। আর টানা ৩৪তম অপরাজিত থাকা ম্যাচ।
ফুটবল ম্যাচে যে পরাজয় বলতেও কিছু আছে, তা প্রায় ভুলতেই বসেছিল হান্স ফ্লিকের শিষ্যরা। তাদেরকে সেই ভুলতে বসা স্বাদই পাইয়ে দিল তুলনামূলক দুর্বল দল হফেনহেইম। বুন্দেসলিগায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হফেনহেইমের কাছে হেরে বসেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাও কি না ১-৪ গোলের বড় ব্যবধানে।
সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বায়ার্ন সবশেষ জয়বঞ্চিত ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। লিগ ম্যাচে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। আর পরাজয়ের কথা মনে করতে গেলে ফিরতে হবে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। যেদিন বরুশিয়া মনশেনগ্ল্যাডব্যাকের বিপক্ষে ১-২ গোলে হেরেছিল জার্মান জায়ান্ট ক্লাবটি।
সেই দিনের প্রায় ১০ মাসের বেশি সময় ও ৩৪ ম্যাচ পর আবারও হারল বায়ার্ন মিউনিখ। হফেনহেইমের মাঠে খেলতে গিয়ে ১-৪ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। অথচ গত ফেব্রুয়ারিতে একই মাঠে খেলতে গিয়ে ৬-০ গোলের বড় জয় নিয়ে ফিরেছিলেন থমাস মুলার, রবার্ট লেওয়ানডোস্কিরা।
রোববার রাতের ভূতুড়ে ম্যাচে প্রথমার্ধেই জোড়া গোল হজম করে বায়ার্ন। ম্যাচের ১৬ মিনিটের সময় প্রথম গোল করেন আরমিন বিকাসিচ। এর ৮ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিউনাস দাবুর। তবে ৩৬ মিনিটের মাথায় বায়ার্নের পক্ষে একটি গোল শোধ দিয়ে দেন জশুয়া কিমিচ।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় বায়ার্ন। পুরো ম্যাচে ১৬ বার প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দিলেও মাত্র তিনটি শট তারা রাখতে পেরেছে লক্ষ্য বরাবর। যার মধ্যে গোল হয়েছে একটি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটের সময় বায়ার্নের বিপদ বাড়িয়ে তৃতীয় গোলটি করেন আন্দ্রে ক্রামারিচ।
আর সবশেষ অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন ক্রামারিচ। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে চার গোল হজম করেই ফিরতে হয় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
এই পরাজয়ের পর দুই ম্যাচে এক জয় ও এক পরাজয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে নেমে গেছে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে বায়ার্নকে হারানো হফেনহেইম।