বিশেষ সংবাদদাতা: বাংলায় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে খুনের ছক কষা হয়েছিল! আর সেইজন্য বাংলাদেশ থেকে ৪ সুপারি কিলারকে নিয়োগ করা হয়েছিল! সেই চার দুষ্কৃতীই এবার পুলিশের জালে। শান্তিনিকেতনে চারজনকে গ্রেফতার তো করা হয়েছেই, সেইসঙ্গে তাদের আত্মগোপনে সাহায্য করায় স্থানীয় দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত চার সুপারি কিলারের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বড় কোনও নেতাকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। মেদিনীপুরের জেল থেকে এক বন্দি নাকি একজনকে সেই দায়িত্ব দেয়। সে–ই নাকি বাংলাদেশের ওই চার দুষ্কৃতীকে সেই নেতাকে খুনের কাজে নিয়োগ করে। পশ্চিমবাংলায় এসে দুষ্কৃতীরা শান্তিনিকেতনে গা ঢাকা দিয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে বীরভূম জেলা পুলিশ। তারা জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। শেষে শান্তিনিকেতনের একটি বাড়ি থেকে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে তাদের আশ্রয় নিতে সাহায্যকারী স্থানীয় দু’জনকেও গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা কোনও মন্তব্য করেননি এদিন। প্রতিক্রিয়া জানায়নি কোনও দলও।
পুলিশ অবশ্য এখানেই তল্লাশির কাজ শেষে করেনি। নানুর এবং লাভপুরেও তারা কড়া তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনার পেছনে আরও কয়েকজন রয়েছে বলে জানতে পেরেছে তারা। তাদের পাকড়াও করতে তল্লাশি জারি রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাংলাদেশের ওই চারজনকে পশ্চিমবাংলায় ঢুকতে কারা সাহায্য করেছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাদের কাছে এত অস্ত্রশস্ত্র বা বিস্ফোরক কী করে এলো, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবশ্য কোন নেতা আক্রান্ত হতে পারতেন, অথবা ষড়যন্ত্রের পেছনে কোনও নেতা জড়িয়ে রয়েছেন কিনা, তা নিয়ে পুলিশ কারও নাম করেনি। তবে ঘটনায় কোনও বড় নেতার নাম উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুষ্কৃতীরা বাংলায় বড় ধরনের হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করছিল বলে জানা গিয়েছে। তাই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিযোগ আছে কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বেশ কড়া অবস্থানই নিয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, পরিস্থিতি বিচার করে এই ঘটনার তদন্তভার চলে যেতে পারে এসটিএফ–এর হাতে।