প্রত্যয় ডেস্ক: সার্কাসে বন্যপ্রাণী ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের উদ্যোগ দিয়েছে ফ্রান্স। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় সেখানে সার্কাসে জীবজন্তু, অর্কা (খুনে তিমি) ও ডলফিন প্রদর্শনী এবং বাণিজ্যিকভাবে মিঙ্ক (বেজি জাতীয় প্রাণী) চাষ বন্ধ করা হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অন্য পেশায় সরিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তা দেবে ফরাসি সরকার।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের পরিবেশমন্ত্রী বারবারা পম্পিলি জানান, তাদের এ পদক্ষেপে অন্তত ৮০টি সার্কাস দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব দলে বাঘ, সিংহ, হাতি, নেকড়ে, জলহস্তিসহ অন্তত ২৩০টি বন্যপ্রাণী রয়েছে। ফ্রান্সে এ মুহূর্তে ডলফিনারিয়াম রয়েছে তিনটি। ফরাসি পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা নতুন করে আর কোনও ডলফিনারিয়াম চালুর অনুমতি দেবেন না। পাশাপাশি, বিদ্যমান তিনটিও আগামী ১০ বছরের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে। আর আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বন্ধ হবে চারটি মিঙ্ক ফার্ম।
বন্যপ্রাণী প্রদর্শনীর সঙ্গে জড়িতদের অন্য পেশায় যেতে আট মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফরাসি সরকার। ইতোমধ্যেই সার্কাসে বন্যপ্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করেছে ইউরোপের অন্তত ২০টি দেশ। ফ্রান্সের কিছু শহরেও এটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
ফ্রেঞ্চ অ্যানিমাল শো অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উইলিয়াম কেরউইচ বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লোকসংখ্যা সীমিতকরণের নির্দেশনায় ভুগতে থাকা একটি শিল্পের পিঠে ছুরিকাঘাত করবে। তিনি বলেন, এটি অনেক লোকের চাকরি কেড়ে নেবে। আর ওইসব প্রাণীদের যত্ন কে নেবে? তারা বন্দিদশায় জন্ম নিয়েছে। তাদের জঙ্গলে ছাড়া যায় না।
তবে বন্যপ্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠন ব্রিজিট বারদত জানিয়েছে, তারা সার্কাসে ভয়াবহ অবস্থায় বন্দি রাখা সব বন্যপ্রাণীর দায়িত্ব নিতে রাজি।