প্রত্যয় ডেস্ক: ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অন্তবর্তীকালীন সময় শেষ হয়ে আসায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ব্যাংকিং সেবা। যেসব ব্রিটিশ প্রবাসীরা এসব ব্যাংকের সেবা গ্রহণ করে আসছিলেন ইতোমধ্যে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে এমনিতেই চাপে থাকা এসব প্রবাসীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন সংকটের মুখে পড়েছেন তারা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অন্তবর্তীকালীন সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার একটি সরাসরি প্রভাব হলো ওই জোটভুক্ত দেশগুলোতে কার্যক্রম চালাতে ব্রিটিশ ব্যাংকগুলো যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছিলো তা আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ইউরোপ জুড়ে থাকা হাজার ব্রিটিশ প্রবাসী এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আগামী বছরের শুরু থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে কার্যক্রম চালাতে হলে ব্রিটিশ ব্যাংকগুলো অবশ্যই আইনসঙ্গত অনুমতি নিতে হবে। আর এজন্য ব্যাংকগুলোর খরচ বাড়বে। ফলে সেই খরচ মেটানোর পর ওইসব দেশে কার্যক্রম চালানো লাভজনক হবে কিনা তা নিয়ে ব্যাংকগেুলোকে নতুন করে হিসাব করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বড় ব্যাংক এললয়েডস ইতোমধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয়টি দেশ-জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং স্লোভাকিয়ায় ১৩ হাজার ব্রিটিশ প্রবাসীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। গ্রাহকদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে পরামর্শও দেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলো। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যাংক কাউটস প্রবাসী গ্রাহকদের পরামর্শ দিতে গত জুলাই থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছে।
তবে এইচএসবিসি ও স্যানটানডেটারের মতো ব্যাংকগুলো অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফ্রান্সে কার্যক্রম চালানোর অনুমতি রয়েছে এইচএসবিসি’র। সেই অনুমতি ব্যবহার করে দেশটিতে ব্রিটিশ প্রবাসীদের সেবা দেওয়া চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ব্যাংকটি।