প্রত্যয় নিউজডেস্ক: প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যারাকপুর জেলার ‘বিজেপি স্ট্রংম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রোববার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় একটি থানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাকে গুলি করা হয়। খবর কলকতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মোটরসাইকেলে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে মণীশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তার সঙ্গী গোবিন্দ। গুলিবিদ্ধ মণীশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা গেছেন বলে জানায় চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, টিটাগড়ের বিটি রোডের পাশে যে জায়গায় মণীশ দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই জায়গাটি টিটাগড় থানা এবং পৌরসভার মাঝামাঝি। স্থানীয়ভাবে এলাকাটি ‘বড়া মস্তান’ বলে পরিচিত।
পুলিশকে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, ঘটনার ঠিক আগেই রাস্তা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি বিক্ষোভ মিছিল যাচ্ছিল। সেই মিছিল চলে যাওয়ার পরই পিছন থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল আসে। বাইক চালক এবং সওয়ারিদের মুখ ঢাকা ছিল হেলমেট দিয়ে।
খুব কাছ থেকে মোটরসাইকেল আরোহীরা মণীশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একাধিক গুলিতে শরীরে ঢোকার পর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলি লাগে সঙ্গী গোবিন্দের।
ঘটনার পর গোটা এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ঘটনার পেছনে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের মদত রয়েছে অভিযোগ তুলে টিটাগড় থানা ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মীর-সমর্থকরা। বেশ কিছুটা সময় বিটি রোড অবরোধও করেন তারা। টুইট করে খুনের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
তার অভিযোগ, ‘ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার সামনে। ওই এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আজকের এই ঘটনায় আমি সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকারও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’