রাঙামাটি প্রতিনিধি: ‘সবার জন্য আবাসন” ভবিষ্যতে উন্নত নগর” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রাঙামাটিতে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে সকাল ১১টায় বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়। আয়োজনে জেলা প্রশাসন ও গণপুর্ত বিভাগ রাঙামাটি। জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এরসভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণপুর্ত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল ও বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো.রফিকুজ্জমান শাহ পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ।
জেলা প্রশাসক বলেন,সকল মানুষের জন্য আরাম দায়ক বাসস্থান গড়ে তুলবে সরকার । মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন। আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬৪ ঘর নিমার্ণ করবে সরকার ।রাঙামাটি লংগদু উপজেলায় বিশেষ প্রকল্পে ১৭৬ টি ঘর নিমার্ণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । জায়গা আছে ,ঘর নেই ,আবার জায়গা নেই ,ঘরও নেই তাদেও জন্য বিশেষ ক্যাটাগড়ি ঘর নিমার্ণ করবে সরকার। বিভিন্ন স্থান থেকে বদলী হয়ে চাকরিজীবিরা পাহাড়ে তাদেও কম খরচে থাকার একটি আবাসন ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান জেলাপ্রশাসক । আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প চালু রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
গণপুর্ত বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল বলেন,সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করাসহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাস্থলের বিষয়ে জনসচেতনা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হচ্ছে । বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল নগর ও শহরগুলোর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা এবং সকলের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের মৌলিক অধিকার প্রতিফলন ঘটনো।
বর্তমান দেশে নগর বর্তমান চিত্র : বর্তমান বাংলাদেশের নগর এলাকার আনুমানিক ৩৫.৩ শতাংশ জনগণ বসবাস করেন। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে ছিল ২৯ মিলিয়ন (১৯ শতাংশ) ২০০১ সালে ৩১.১ মিলিয়ন,(২৩ শতাংশ) এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৪.১ মিলিয়ন(২৯ শতাংশ) স্বাধীনতার পর প্রতিবছর ২.২ শতাংশ বেড়ে ৬শতাংশ হয়েছে। ২০৫০ সালে নাগাদ নগর এলাকায় ৫০ শতাংশ অধিক জনগণ বসবাস করবে। এছাড়া জিডিপিতে নগর সেক্টরে অবদান বেড়েই চলছে যা বর্তমানে ৬৫ শতাংশ অধিক ।
রিপোর্ট:চৌধুরী হারুনুর রশীদ।