প্রত্যয় নিউজডেস্ক: করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইতালি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে নতুন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছেন। মাস্ক পরিহিত কন্তে জনগণের উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, নতুন করে লকডাউন এড়িয়ে চলতে বিধি-নিষেধের প্রয়োজন ছিল।
ইতালির বিভিন্ন রাজ্যের মেয়রদের বেশ কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের রেস্টুরেন্ট খোলা এবং বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারবেন তারা। এছাড়া জনসমাগমেও তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন বা কি পরিমাণ লোকজন সমবেত হতে পারবেন তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
টানা দু’দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশজুড়ে আবারও বিধি-নিষেধ জারি করতে বাধ্য হয়েছে ইতালি সরকার। রোববার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জন।
এর আগে শনিবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৯২৫ জন। অপরদিকে শুক্রবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১০ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ ধরা পড়ে। অপরদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এমনকি সে সময় করোনার হানায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইতালি।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি করে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। ফলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার। করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৩৬ হাজার ৫শ জন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরেই ইতালির অবস্থান।
রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, আমরা সময় নষ্ট করতে পারব না। লকডাউন এড়িয়ে চলতে আমাদের কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। কিন্তু ইতালির প্রত্যেককেই এর অংশ হিসেবে যোগ দিতে হবে। তিনি বলেছেন, মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব এবং হাত পরিষ্কার রাখার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন কন্তে।
বার এবং রেস্টুরেন্ট মধ্যরাত থেকে খোলা রাখা যাবে। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শুধুমাত্র টেবিল সার্ভিসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একটি গ্রুপে সর্বোচ্চ ছয়জন থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে সব ধরনের কনফারেন্স এবং উৎসব বাতিল করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের খেলাধুলার কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।