প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: অশুভকে নাশ করে শুভ প্রতিষ্ঠা করেন দেবী দুর্গা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের ব্রত নিয়ে ধরাধামে আসেন তিনি। করোনাকালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও শারদোৎসবে মেতেছে হিন্দু ধর্মালম্বীরা।
কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় আলাদা আলাদা থিমে দুর্গার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এমনই এক মূর্তি নজর কেড়েছে বহরমপুরের পূজামণ্ডপে। সেখানে অসুর হিসেবে দেখানো হয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। আর তাকে বধ করছেন দেবী দুর্গা।
সম্প্রতি লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। দেশের সুরক্ষার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না বলে জানিয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। শীতে কষ্ট সহ্য করে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের পাহারায়থাকবেন ভারতের সেনারা। দেশের সেনাদের এই আত্মত্যাগের কথা ভেবেই খাগড়ার সৌদাবাদ সেবক সংঘের এই দুর্গা মূর্তি তৈরি।
বহরমপুরের ওই পূজামণ্ডপে এক চালাতেই দেবী দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, কার্তিক ও সরস্বতীর মূর্তি রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অসুর শি জিনপিংয়ের মুণ্ডু ছেদ করেছে দেবীর সিংহ। নিচে পড়ে রয়েছে সেই কাটা মুণ্ড, যা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, অশুভ শক্তিকে বধ করেন দেবী দুর্গা। আর বর্তমান সময়ে সেই অশুভ শক্তির প্রতীক চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
স্বর্গধাম সেবক সংঘের সদস্যরা মনে করেন, চীনের চেয়ে ভারত অনেক শক্তিধর। তাছাড়া লাদাখ সীমান্তে যেভাবে ভারতীয় সৈন্যরা কষ্টে রয়েছেন, যেভাবে ভারতের সৈন্যদের হত্যা করেছে শি জিনপিংয়ের সেনারা, তাতে চীনা প্রেসিডেন্টকে অসুর বলাই শ্রেয় বলে জানান ক্লাবের সেক্রেটারি অভীক চৌধুরী।
এদিকে ক্লাবের সদস্য সুভাষ ধরের মতে, প্রত্যেক শিল্পীর স্বাধীনতা রয়েছে। সেই স্বাধীনতারই প্রতিফলন এই মূর্তি, যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।