নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে গত ১৮ অক্টোবর জারি করা বিজ্ঞপ্তি থেকে কোটা পদ্ধতি বাদ দিয়ে ফের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. তারেক রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়া সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দাখিল করেন।
রিট আবেদনে ‘বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে সংশোধিত ১ম ও ২য় শ্রেণির কোটা বিধির বর্তমান পরিপত্র মেনে’ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ, শিক্ষা ও জনপ্রশাসন সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বিবাদীদের বরাবরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সলের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্রে বলা হয়, ‘৯ম গ্রেড(পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩ম গ্রেডের(পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগে ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হইল।’ এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় নেওয়া হবে। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।