প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্ক : করোনা সংকটে ব্রিটেনের প্রায় ৭ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে দারিদ্রতার মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশুও রয়েছে। দ্যা লেগাটাম ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী শুরুর পর গত এপ্রিল থেকে ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের অর্থের পরিমাণ সপ্তাহে ২০ পাউন্ড বাড়ানোর ফলে করোনা সংকটকালে দারিদ্রতার মধ্যে বসবাসরত এই ৭ লাখ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তা বন্ধ হবার সাথে সাথে দরিদ্রের সংখ্যা দ্বিগুন হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। তবে এই গবেষণা সংস্থার মতে, করোনার কারণে সার্বিকভাবে ব্রিটেনের সর্বমোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছেন।
এই সংস্থার চীফ এক্সিকিউটিভ এবং কনজারভেটিভ পার্টির হাউস অব লর্ডসের সদস্য ফিলিপা স্ট্রউড বলেছেন, করোনা সংকট কাটাতে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচীতে ব্যাপক আকারে দারিদ্র বিরোধী পরিকল্পনা সংযুক্ত করতে হবে। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড পরিশোধ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংকটে নতুন করে দারিদ্রতার মধ্যে পড়ে প্রায় ৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই দারিদ্র সীমার ২৫ শতাংশ নীচে। আর প্রায় ১লাখ ৬০ হাজার রয়েছেন ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশের ভেতরে। আর ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ দারিদ্র সীমার ৫০ শতাংশের বেশি নীচে। অর্থাৎ তারা গভীর দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন। তবে করোনা মহামারী শুরুর পর ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড পরিশোধের ফলে প্রায় ১ লাখ সিঙ্গেল পরিবার এবং ১ লাখ ৭০ হাজার কর্মহীন পরিবার কোনো রকমের দারিদ্র সীমার উপরে বসবাস করছে।
উল্লেখ্য ব্রিটেনে দারিদ্র সীমার উপরে থাকতে হলে দু সন্তানসহ একটি সিঙ্গেল পরিবারের সাপ্তাহিক আয় থাকতে হবে ৩শ ২৫ পাউন্ড, বাবা-মাসহ দু সন্তানের পরিবারে সাপ্তাহিক আয় ৪শ ৩৯ পাউন্ড এবং বৃদ্ধ দম্পতির সাপ্তাহিক আয় থাকতে হবে ২শ ৩৯ পাউন্ড।