প্রত্যয় ইউরোপ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য দেশজুড়ে জনগনকে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরাসরি টিভিতে ভ্যাকসিন নিতে পারেন। তার প্রেস সচিব অ্যালেগ্রা স্ট্রাটন আজ এমন ধারণা দিয়েছেন। ডাউনিং স্ট্রিট ব্রিফিংয়ের নতুন নেতৃত্বে আসা সাবেক এই সাংবাদিক দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং ভ্যাকসিন নেয়ার ব্যাপারে বোঝাতে রাজি হওয়ার উপায় হিসেবে এই সম্ভাবনাটির কথা উল্লেখ করেছেন।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশনের ডাইরেক্টর ডাঃ অ্যান্টনি ফাউসি ব্রিটেনের ভ্যাকসিন অনুমোদনে তাড়াহুড়ো করার সমালোচনা করেছেন। গতকাল ডাঃ অ্যান্টনি ফাউসির বক্তব্যের পর ডাউনিং স্ট্রিট ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানা গেছে।
জনমনে কোন ধরণের ভীতি সৃষ্টির আশংকা দূর করতে আরো অনেক রকম প্রয়াস অব্যাহত আছে। ফাইজার/বায়োএনটেক নিয়ে ৫ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি লোকের জরিপে দেখা গেছে, ২৭% (শতাংশ) বলেছেন যে তারা এর সুরক্ষায় অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং ৪৩% মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী। তবে ১১% বলেছেন তারা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না আর ৯% মোটেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না।
যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃক অনুমোদিত ফাইজার/বায়োএনটেক ভ্যাকসিন বিতরণ কীভাবে হবে সে সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে প্রথম ডোজ দিয়ে সূচনা হবে।
কর্তৃপক্ষ আস্থার সাথে বলছেন যে, আমরা আর একটি জাতীয় লকডাউন দেখব না। ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদনের অর্থ সরকার নতুন জাতীয় লকডাউন বাতিল করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে মিঃ উইলিয়ামসন বলেছেন, আমরা কেউই জাতীয় লকডাউন দেখতে চাই না এবং আমাদের মধ্যে কেউই জাতীয় লকডাউন দেখতে আশা করে না। লোকেরা যদি নিয়ম মেনে চলতে থাকেন তবেই এটা সম্ভব।
এদিকে ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম ডাউনিং স্ট্রিট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জনগণ তাদের সামাজিক দূরত্বের অবসান দেখতে চাইলে, তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাইলে ভ্যাকসিন নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, চলমান করোনভাইরাস ব্যবস্থায় লোকেরা “বিরক্ত” হয়েছিলেন, তাদের সুরক্ষার জন্য দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা চলছে। ফাইজার/বায়োএনটেক ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য ইউকে প্রথম দেশ হওয়ার পরে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) সই করার পর এ সপ্তাহে রোলআউট শুরু হবে।
অধ্যাপক ভ্যান-ট্যাম ব্রিফিংয়ের সময় স্বীকার করেছেন যে বুধবার সকালে স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রকের সিদ্ধান্তের কথা শুনে তিনি “আবেগপ্রবণ” হয়েছিলেন। মহামারীটি খুব শীঘ্রই শেষ হতে পারে এমন প্রত্যাশা তার মনে জেগেছে। যেটাকে তিনি একটি যুদ্ধের সমাপ্তি বলে অখ্যায়িত করেছেন।