বিশেষ সংবাদদাতা:কলকাতার দাবি খারিজ করে দিল দিল্লি। বৃহস্পতিবার নবান্নকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হিসেবে করোনা সংক্রমণের নিরিখে ১০টি জেলা হল রেড জোন। আর অরেঞ্জ জোনে রয়েছে পাঁচটি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই চিঠিতে তীব্র আপত্তি জানায় রাজ্য।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব প্রীতি সুদন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকেই চিঠি দিয়ে গোটা দেশের রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। পশ্চিমবাংলার মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা রেড জোনের ১০টি জেলা হল কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও মালদহ। আর অরেঞ্জ জোনের জেলাগুলি হল হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ।
তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ের মতো জেলাকে রেড জোনে ফেলা যায় না। কারণ, দার্জিলিংয়ে শেষ কারও শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ২১ এপ্রিল। জলপাইগুড়িতে ৪ এপ্রিল এবং কালিম্পংয়ে ২ এপ্রিলের পর কোনও কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে। জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়। কারণ, বাংলায় মাত্র ৪টি জেলাতেই সংক্রমণ বেশি।
কিন্তু রাজ্যের এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এদিন বিকেলে মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল হয়নি। অনেক ভাবনাচিন্তা করেই পশ্চিমবাংলায় ১০টি জেলাকে রেড জোন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। লব আগরওয়ালের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, অনেক ভেবেই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছে।
যদিও রাজ্যের চিঠির জবাব সরকারি ভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব এখনও দেননি। কিন্তু কেন্দ্রের বক্তব্য কী হতে পারে, তা লব আগরওয়ালের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।