সিলেট প্রতিনিধি:সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. ইমন মিয়া (২১) এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তার কিডনিতে সমস্যা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। শুক্রবার (১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ইমন মিয়া নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন । তিনি ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি কনস্টেবল পদে শিল্প পুলিশে যোগ দেন। তার কনস্টেবল নম্বর ৫৮৪। সম্প্রতি তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে সিলেটে ফেরেন। তিনি মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তার। অসুস্থ থাকার কারণে সম্প্রতি তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে পাঠায় শিল্প পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ এপ্রিল তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
পুলিশ সদস্য ইমন মিয়ার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারপরও সতর্কতামূলক কারণে ইমনের মরদেহ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং সংক্রমণ বিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার ও ডিবির ওসি (উত্তর) সাইফুল আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল ইমন মিয়া ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন স্যার তার শারীরিক অবস্থার অবনতির সংবাদ জানতে পেরে আমাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসায় সহায়তার নির্দেশ দেন। আমি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সহায়তা করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাতে তিনি মারা গেছেন। তবে তার করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার স্যার নিহতের দাফন-কাফনের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।