চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি : রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব-২০২১ আগামী প্রজন্মকে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । রাঙামাটি চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়াম সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়োজিত মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি বক্তব্য এই কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোার্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন , পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী । বিশেষ অিিতথি হিসাবে নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাচ্ছের হোসেন,জেলা প্রশাসক এ.কে.এ, মামুনুর রশিদ ,সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি, ,রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ও ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জনাব মোঃ ইফতেকুর রহমান, পিএসসি।
রাঙামাটি বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব-২০২১ এ টিভি উপস্থাপক আলমগীর হোসেন ও ডেজী ত্রিপুরা উপস্থাপনায় বক্তরা বলেন: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা স্কাউট, রোভার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা/বিভাগ/দপ্তর সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১ কে সফল করার জন্য ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারনার জন্য আজকের এ প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন।
টেকসই পর্যটনখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধানক্ষেত্র হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে যা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভলের মাধ্যমে দেশের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা প্রসারিত ও বিকশিত হবে। পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্স, মাউন্টেইন বাইক, জিপলাইন, রেপলিং, দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ও কেভ ডিসকভারী ইভেন্টসমূহে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় এক অন্যরকম ক্রীড়া অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এতে অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়াপ্রেমী অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। এছাড়া পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী জনমানুষের এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতর হবে এবং পরষ্পরের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুদৃঢ় হবে। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর শেষলগ্নে ও বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি শুভক্ষনে তাঁর নামে অনুষ্ঠিত অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের ব্যাঞ্জনা হবে সুদূর প্রসারী।
## চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি-১১ জানুয়ারী।