রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত ১৩৪টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৮৫টি মামলা আর নিম্ন আদালতে আছে বাকি ৪৯টি। যার মধ্যে রাজশাহীর আদালতেই রয়েছে ৪৭টি।
বিশ্ববিদ্যালয় লিগ্যাল সেল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ এর ৩০ জুন পর্যন্ত রাবির ১৩২টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এরপর ২০২০ সালে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়।
সর্বশেষ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা সদর সিনিয়র জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন দুই নিয়োগ প্রার্থী মতিউর রহমান ও মোছা. শারনী আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম এ বারী, কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, আইবিএসসির পরিচালক মো. ফিরোজ আলমসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণের পর নিয়ম বহির্ভূতভাবে পেনশনের ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দীন পত্নী মোমেনা জীনাত।
উপাচার্য ছাড়া মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম.এ বারী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম কবীর এবং স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ।
লিগ্যাল সেল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ এর জুলাই থেকে ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত আট মামলা নিষ্পত্তি হয়। এর মধ্যে রাবি প্রশাসনের পক্ষে রায় হয়েছে ছয়টি মামলার। রাবির বিপক্ষে রায় হয় দুটির। তবে ওই সময়ের মধ্যে নতুন আটটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে ছিল আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাটি।
২০১৯ সালের ২ মে রাজশাহী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অবমাননার মামলাটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শাহরিয়ার পারভেজ।
এছাড়া বিচারাধীন অন্য মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ড. শাহীন জোহরা বলেন, বিচারাধীন মামলার মধ্যে অনেক পুরাতন মামলাও আছে। ১০-১২ বছর আগের মামলা এখনও চলমান। ২০০৩-০৪ সালের মামলাও আছে কয়েকটি। যে মামলাগুলো চলমান তার সবগুলোই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আলাদা করে বলার কিছু নেই। আমরা প্রত্যেকটি মামলাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আইনি লড়াই করছি।