♠বিশেষ সংবাদদাতা:
৭ মে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৯৮০ সালের কলকাতা পুর আইন অনুযায়ী এই দিন নির্ধারিত। অথচ করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার এখনও কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয়নি। তাই পুরসভা কারা চালাবেন, তা নির্ধারিত হয়নি। অথচ ৭ মে সব কাউন্সিলরেরই মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ওই দিনের পর থেকে কাউন্সিলররা আর নিজেদের পদের মর্যাদা পাবেন না। বর্তমান পুরবোর্ডও ক্ষমতাহীন হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ভোট হচ্ছে না। সেইজন্য পুরবোর্ড কারা চালাবেন, তা ঠিক হয়নি। কিন্তু পুরসভার কাজ বন্ধ করে রাখা যায় না। তা হলে কলকাতা শহরটাই অচল হয়ে যাবে। সেইজন্য কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ মেয়রের এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে কে বসবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। যখন সেই সিদ্ধান্তের কথা সরকার ঘোষণা করবে, তখন শহরবাসীরাও সবাই সে কথা জেনে যাবেন।’ তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসক কাজ শুরু করবেন ৮ মে থেকে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার প্রশাসক পদে কারা বসবেন, তা বুধবার রাজ্য সরকার ঘোষণা করে দেবে। মনে করা হচ্ছে, বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদরা এবং পুরসভার চেয়ারপার্সনরা প্রশাসক পদের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন। কলকাতা পুর আইনের ৬৩৪ নম্বর আইন প্রয়োগ করে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।
পাশাপাশি বিদায়ী পুরবোর্ড কলকাতা শহরে জল সরবরাহ ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে দিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথম ধাপে ১৬টি পুরসভা এলাকায় কাজ শুরু হবে। পানীয় জল উৎপাদন, পরিস্রুতকরণ এবং বাড়ি পৌঁছে দেবে বেসরকারি সংস্থা। তবে এই কাজের জন্য নাগরিককে কোনও টাকা দিতে হবে না। খরচ বহন করবে পুরসভাই। তবে অনেকে মনে করছেন, এই কাজ আসলে আগামিদিনে নাগরিকদের কাছ থেকে জলকর আদায় করার প্রথম পদক্ষেপ।