বিশেষ সংবাদদাতা:
করোনার থাবা থেকে কিছুতেই বের হওয়া যাচ্ছে না। পশ্চিমবাংলায় করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬০ জন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এই ১৬০ জনের মধ্যে কো–মর্বিডিটির জন্য মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। আর করোনায় মৃত ৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এই সময়ে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩০ জন।
বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, সারা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৬৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত ১,১৯৫ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১,৫৪৮ জন এবং ১,১০১ জন। শুক্রবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৩২৩ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল ২৯৬ জন। রাজ্যের বুলেটিনে প্রকাশিত হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৬৭ জনের। কিন্তু ৯ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৩৫ হাজার ৭৬৭ জনের করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে গোটা রাজ্যের প্রকৃত ছবিটা ধরা পড়ছে না বলে সরকারের সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। সিপিএমের অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা কম করে দেখাতেই রাজ্য সরকার করোনা পরীক্ষা কম করে করছে। বিজেপির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সরকার করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। তাই ক্রমশ জটিল হচ্ছে রাজ্যের অবস্থা।
এদিকে, কলকাতা পুলিশের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় উদ্বেগ বেড়েছে। বউবাজার থানার পর এবার ময়দান থানাতেও দুই পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবলের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁদের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া মানিকতলা থানার এক মহিলা পুলিশকর্মীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শুধু পুলিশই নয়, চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণও চিন্তা বাড়িয়েছে সরকারের। জানা গিয়েছে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এমডি এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবারই তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে সেখানকার বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হতে পারে। এই ঘটনার পর স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মোট ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।