জন্মলগ্ন থেকেই র্যাব পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সময়ে অপরাধীরা অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে। র্যাবকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংগঠিত এসব অপরাধ মোকাবিলায় পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে।
‘র্যাবের সকল সদস্য দেশের সংবিধান, প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জনগণকে সেবা প্রদান করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।’
শুক্রবার (২৬ মার্চ) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন জন্মলগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জনমানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। আমি বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী র্যাব সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের এক অপার বিস্ময়। পরিবর্তনশীল বিশ্ব প্রেক্ষাপটের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকার রূপকল্প-২০২১, ২০৪১ সহ নানামুখী দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব উন্নয়ন পরিকল্পনার সুফল সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো- কার্যকর আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেফতার, জঙ্গি ও চরমপন্থিদের মূলোৎপাটন, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, দুর্নীতিবিরোধী অভিযানসহ সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধে গৃহীত নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যে অভাবনীয় সাফল্য ও সুনাম অর্জন করেছে। সুন্দরবনে জলদস্যু-বিরোধী অভিযান ও আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে র্যাব উপকূলীয় এলাকায় জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি র্যাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করছি।