মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ শুক্রবার দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই পরীক্ষায় আবেদন করেও অংশ নেননি ছয় হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে শুক্রবার (২ এপ্রিল) এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। অর্থাৎ অনুপস্থিত ছয় হাজার ১৮ জন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিকসহ নানা সমস্যার কারণে প্রতি বছরই কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকেন। তাছাড়া এবার করোনা সংক্রমণজনিত কারণেও কেউ কেউ অনুপস্থিত থাকতে পারেন।’
ডা. এ কে এম আহসান হাবিব বলেন, ‘এ বছর অনলাইনে ভর্তির আবেদনগ্রহণের সময়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধীনে কত সংখ্যক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীর আবেদনগ্রহণ করা হবে, তা উল্লেখ করেই আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। প্রথম কয়েকদিন অধিক আবেদন জমা হওয়ায় পরবর্তীতে বেশ কিছু মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়। তবে অনেক পরীক্ষার্থী নিকটবর্তী পরীক্ষাকেন্দ্র না পেয়ে দ্বিতীয়বার আবেদন করেন। এটিও অনুপস্থিতি বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক জানান, সারাদেশে বিভিন্ন কেন্দ্র ও ভেন্যু থেকে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও মেডিকেল কলেজ প্রতিনিধিদের প্রহরায় উত্তরপত্র সিলগালা করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরে পাঠিয়েছেন। বেশিরভাগ উত্তরপত্র এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে। সেগুলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ টিম গ্রহণ করেছেন। সব উত্তরপত্র এসে পৌঁছানোর পর প্রথমে স্ক্যানার মেশিনে স্ক্যানিং এবং পরে ওএমআর মেশিনে উত্তরপত্র মূল্যায়ণ করে ফল তৈরি করা হবে।