লাইলাতুল কদর বা শবে কদর রমজানের শেষ দশকের একটি রাত। যে রাতের মর্যাদা ঘোষণায় বলা হয়েছে যে,
মহান আল্লাহর বাণী: (ليله القدر خير من الف شهر)
অর্থাৎ, লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রজনী। যে কেউ এ রাতে একটি আমল করবে তা হাজার মাসের আমল হিসেবে পরিগণিত হবে।
এ কারণেই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে এতেকাফ করতেন। যাতে কোনোভাবে শবে কদর থেকে বঞ্চিত হতে না হয়। পাশাপাশি সবাইকে শেষ দশ দিন লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
লাইলাতুল কদর অন্বেষণ:
রাসূল (সা.) বলেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম, হাদিস নং: ১১৬৯)।
একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তখন নবীজী (সা:) সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)।
* রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজানের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)।
তাই রমজানের শেষ দশকের ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ প্রত্যেক বেজোড় রজনীকে লাইলাতুল কদরের রজনী হিসেবে অনুসন্ধান করতে হবে।
শবে কদরের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া:
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-
(اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي.)
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালো বাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
সুতরাং আমাদের উচিত, রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়া।
আল্লাহ তাআলা আমাদের গোনাহ মাফ ও সফলতা লাভে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো শবে কদরের এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক- শহীদুজ্জামান কাকন,
সুইডিশ সরকারের অর্থনীতিবিদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কিশোরগঞ্জ -২ (কটিয়াদি-পাকুন্দিয়া), উপদেষ্টা সেচ্ছাসেবকদল, কেন্দ্রীয় কমিটি।
============