সারা দেশের কবরস্থান এবং শ্মশান থেকে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, করোনা পজিটিভ মরদেহের সৎকার হয়েছে প্রায় চারশ’। ১৩ই মে পর্যন্ত সরকারি হিসেবে, মৃতের সংখ্যা ২৬৯। এছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে প্রায় চার শতাধিক মানুষ।
মার্চের আট তারিখ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর যত দিন গেছে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর সারি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রতিদিনই জানাচ্ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। তাদের হিসেব অনুযায়ী ১৩ই মে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭,৮২২ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৬৯ জনের।তবে রাজধানীসহ সারাদেশের কবরস্থান এবং শ্মশানঘাট থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে গরমিল পাওয়া গেছে। শুধু রাজধানীর কবরস্থান এবং শ্মশানঘাটে ১৩ই মে পর্যন্ত সৎকার হয়েছে ২৩৭ জন করোনা পজিটিভ মৃতদেহের।
এর মধ্যে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দাফন হয়েছে ১৩৯ জনের, রায়েরবাজার কবরস্থানে ৫৯ জনের এবং আজিমপুর ও মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ২ জনের দাফন হয়েছে। এর বাইরে পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে সৎকার হয়েছে ৩৫ জন করোনা পজিটিভ মৃতদেহের।এছাড়া, রাজধানীর বাইরে সারাদেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৫৫ জন। এরমধ্যে শুধু নারায়ণগঞ্জেই ৫৯ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন এবং মুন্সীগঞ্জে ১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে মারা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানালে সেই হিসেব অধিদপ্তরে নথিভুক্ত হয়না।এইতো গেল পজিটিভ শনাক্ত হওয়া মৃত্যুর হিসেব। এর বাইরে গত দুই মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও চার শতাধিক মানুষ। এরমধ্যে রাজধানীর কবরস্থানগুলোতে দাফন হয়েছে ৮০ জনের। তালতলা কবরস্থানে ৫২ জন, রায়েরবাজার কবরস্থানে ২৮ জন ও পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে সৎকার হয়েছে ৩০ জনের।
রাজধানীর বাইরে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১১ই মে পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯৬ জন। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫০, খুলনায় ১৭, লক্ষ্মীপুরে ১৫, বরিশালে ১৪, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং নোয়াখালীতে ১০ জনের মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করা হয়। এর বাইরেও কারও কারও করোনা আক্রান্তের তথ্য লুকিয়ে দাফন বা সৎকার করা হয়েছে। যদিও সে সংখ্যাটি খুব বেশি নয়।
সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ।