ধর্ম ডেস্ক: প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের ব্যাপকতার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাবা শরিফ ও মদিনায় জুমআ ও খুতবাহ অনুষ্ঠিত হবে। খুতবাহ শোনা থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে থাকবে সুনির্দিষ্ট দিকনিদের্শনা ও সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ ০২ জুলাই ২০২১ইং মোতাবেক ২২ জিলকদ ১৪৪২ হিজরি (সৌদিতে) কাবা শরিফ ও মদিনায় খুতবাহ ও জুমআর নামাজ পড়ানোর জন্য হারামাইন কর্তৃপক্ষ দুইজন প্রসিদ্ধ ইমাম ও খতিব নির্বাচিত করেছেন। আজকের জুমআর খুতবাহ ও নামাজের জন্য ইমাম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন-
– কাবা শরিফের সম্মানিত প্রবীণ ইমাম প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও খতিব শায়খ ড. সৌদ আস-শুরাইম।
– মদিনার প্রসিদ্ধ ইমাম, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও খতিব শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন আল-কাসিম।
যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও নিজস্ব মুসাল্লাসহ মুসল্লিরা নিরাপদে এ দুই পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারামে এবং মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়ে খুতবা শোনবেন এবং নামাজ আদায় করবেন।
মুসল্লিদের ভিড় কমাতে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মানার সুবিধার্থে মসজিদে নববির ছাদ খুলে দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।
সৌদি আরবের সব মসজিদে নামাজ পড়ার সময় ও দিকনির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দেশটির ইসলামিক দাওয়াহ ও দিকনির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের নতুন এই নির্দেশনা হলো-
– মসজিদে আজান দেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে জামাআত শুরু করতে হবে।
– আজান ও জামাআতের মধ্যে ১০ মিনিটের বেশি বিরতি না দেয়া। তবে ফজরের নামাজের জন্য আজান ও জামাআতের মধ্যবর্তী সময়ের বিরতি হবে ২০ মিনিট।
– সরকারি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে- মসজিদসমূহ আজানের পর খোলা হবে এবং নামাজের ১০ মিনিট পর বন্ধ করে দেয়া হয়।
জুমআর ক্ষেত্রে-
– জুমআর নামাজের ক্ষেত্রে জামে মসজিদগুলো আজানের ৩০ মিনিট আগে খোলা হবে। আর নামাজের ১০ মিনিট পর বন্ধ করে দেয়া হবে।
– আগের মতো জুমআর খুতবাহ ও জামাআত ১৫ মিনিটের বেশি হতে পারবে না। এ মর্মে সব খতিবকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে পবিত্র কাবা শরিফে সাদা গিলাফ আবৃত করার মধ্য দিয়ে হজে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পরিচালিত হচ্ছে নামাজ, জুমআ এবং ওমরাহ-হজের কার্যক্রম।