আরাফাত রায়হান, চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ছাত্র যে কোন সময় আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে সংগঠিত ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা দেন।
তাদের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা যায়, ওই দিন রাতে ১৬-১৭ সেশনের রিমি এবং ১৭-১৮ সেশনের আইয়ুশি আপু সোহরাওয়ার্দী হলের মোড় থেকে ২ নাম্বার গেইটের দিকে যাচ্ছিলেন তখন আপুদের পিছন পিছন আরেকটি ছেলে যাচ্ছিল। আমরা তখন সামনের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের আগানো দেখে ছেলেটা পার্শ্ব রাস্তা দিয়ে চলে যায়। তখন আমরা আপুদের বলি এত রাতে একাএকা যাচ্ছেন তো আমরা ঐদিকে যাব আমরা কি এগিয়ে দিব? তখন সঙ্গে সঙ্গে ওনারা উচ্চ স্বরে বলে ক্যম্পাস দেখাশোনা করার দায়িত্ব কি প্রক্টর আপনাদের দিছে? তখন আমরা আপুদের সেশন জিজ্ঞেস করি। জুনিয়র হয়ে ওনাদের সেশন জিজ্ঞেস করার অপরাধে ওনারা রেগে যান এবং গালাগালি করেন এবং প্রক্টরের গাড়ি দেখতে পেয়ে চারজনকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। বহিষ্কারের কথা শুনে ভয় পেয়ে পালিয়ে যাই। চারজন থেকে একজন দাঁড়িয়ে থেকে প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলেন এবং মেয়ে দুইজনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
২০১৯-২০ সেশনের জুনায়েদ বলেন, কোন আপুর সেশন জিজ্ঞস করা যদি ধর্ষণ করা হয়ে যায় তাহলে ছেলে হিসাবে বেঁচে থাকার কোন মানে হয় না। ১৯-২০সেশন এইটাই এখন আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী। আপুরা আমাদের সাথে যেটা করেছে সেটা নারীত্বের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি সঠিক ভাবে উপস্থাপন করেন নি আপুরা। আমরা যেহেতু ছোট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন আপুরা চাইলে আমাদের এই ভুলটি ছোট ভাই হিসেবে মাফ করে দিতে পারতেন। বাবা মা, ভাই বোন, বন্ধুবান্ধব, বড় ভাই সবাই যোগাযোগ অফ করে দিয়ে এক ঘরে করে দিয়েছে আমাদের। এখন আমরা সুইসাইড করলে এই দ্বায়ভার কে নিবে?মানসিক অশান্তি থেকে মরে যাওয়াটাই ভালো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণে আমাদের গাড়ি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গেলে দুইজন ছাত্রী আমাদের গাড়ি থামিয়ে তাদের হেনস্তার কথা বলেন। আমরা গাড়ি থামালে হেনস্তাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এরমধ্যে একজনের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে । এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।