জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি: বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাতিলসহ অন্য তিন দফা দাবিও মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিরা।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ রহিত করার সুপারিশ করা হয়। তবে একটি বিষয়ের সমাধান আসলেও ছাত্রীদের বাকি তিনটি দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এবার সেগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রীরা।

আজ বৃহস্পতিবার(২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীরা নিজেদের বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

তাদের বাকি দাবিগুলো হলো— শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার্থে সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্জিয়ান/স্থানীয় অভিভাবক’— এর পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট/জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি প্রবর্তন করা, আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দ্বারা যে কোনো ধরনের হয়রানি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করতে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করাসহ জরুরি প্রয়োজনে তাদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।তিনি বলেন, আমরা বরাবরই চেয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রশাসন করে আসছে, তার অবসান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই উপাচার্য স্যারের কাছে আমাদের চার দফা দাবি জানিয়েছিলাম।এর প্রত্যেকটিই আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রথম দাবিটি প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে মেনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি তিনটি দাবি মানা হয়নি। বাকি দাবিগুলোও নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণেরই প্রতিফলন। তাই আমরা আমাদের প্রত্যেকটি দাবির বাস্তবায়ন চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক জিএস আফসানা ছপা, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফাতিমা তাহসিন, সাবেক সাহিত্য সম্পাদক অরনিমা তাহসিন, সুফিয়া কামাল হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরা শারমিন, সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রিপা কুণ্ডু ও সাবেক সংস্কৃতি সম্পাদক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী।