দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরী ‘প্লাজমা থেরাপি’ নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি আজকে বিকেলে ‘ও’পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের ২০০ এমএল প্লাজমা নিয়েছি। এখন আমি ভালো অনুভব করছি। তবে তিনি পিসিআর টেস্ট করাবেন না বলে জানিয়েছেন।
নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করা কিট দিয়ে পরীক্ষা করে তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি ‘নিশ্চিত’ হন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও খোঁজ-খবর নিয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার জন্য ব্যবস্থা করতে বলেছে। সবাই আমার খোঁজ-খবর নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও নিয়েছেন, সকল রাজনৈতিক দলই খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহ থেকে রক্তরস বা প্লাজমা নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এন্টিবডি তৈরি হয়ে তা সেরে ওঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ওই র্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পরীক্ষার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
জাফরুল্লাহ বলেন, তিনি আরটি-পিসিআর টেস্ট করাবেন না। পিসিআর টেস্ট কেন করব? আমি তো র্যাপিড কিট দিয়ে টেস্ট করে দেখেছি। আবার কেন? এটা (পিসিআর) অপ্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় কোনো কাজই আমি করিনি, এটাও করব না।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন