নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারো রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোন নিয়ম নীতি মানছে না । দীর্ঘদিন ধরে সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম বেতবুনিয়া থাকাকালিন নানা অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে । রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে মিটার লোড বাড়িয়ে দেয়া,ফ্রি পেইড মিটারে নানা সমস্যা দেখিয়ে গ্রাহকদের বিপুল অংকের টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে ।
১ এপ্রিল কালিন্দপুর সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা চিংকিউ রোয়াজার বাসর সামনে ট্্রান্সফারমার নষ্ট হলে এলাকাবাসী থেকে টাকার ব্যাপক অভিযোগ আসছে। স্বয়ং চিংকিউ রোয়াজাকে ফোন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। নষ্ট হলে নিয়ম মোতাবেক টেন্ডার মাধ্যমে ক্রয় বা মেরামত করার কথা । নিবার্হী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান তিন পার্বত্যজেলায় ৫৬৫ কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্প মেয়াদ শেষ কিন্ত কাজ শেষ না করে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে যোগদান করেছেন।
৮ এপ্রিল শনিবার ২০২৩ সকালে রাঙ্গাপানি লুম্বনি গেইটে প্রবেশের বাম পার্শ্বে কোন নোটিশ ও মাইকিং ব্যতীত বিদুৎ লাইন বন্ধ রেখে পোল ও নতুন লাইন সঞ্চালন করা হয় । এতে নতুন ফিটিং অন্যন্যা মালামাল লাগানো হয় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম। শ্রমিক জসিম ও কুদ্দুস এইসব অবৈধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রায় সময় করে আসছে। তিনি মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল পুনারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন সহকারী প্রকৌশলী আবুল আবুল হাসেম। পরে ভাগাভাগি ঠিকমত বিদ্যুৎ আবার লাগিয়ে দিয়েছে বলে জানান।
এই বিষয়ে প্রতিবেদক জানতে চাইলে কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছেন তিনি বলেন, আমি জানি না কে বা কারা পোল সরিয়ে লাইন সঞ্চালন কাজ করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। একবার বলে আমি বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করি নাই। আবার বলে আমি জানতে পেরেছি নিবার্হী প্রকৌশলী মোখিক নির্দেশ থাকায় লাইন লাগানো হয়েছে। ১৭ এপ্রিল সোমবার বিদুৎ বিতরণ বিভাগে সরেজমিনে প্রতিবেদকসহ তিনজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে পুরো ঘটনা অস্বীকার করে। লাইন বন্ধ ও বিচ্ছিন্ন করা সব দায়িত্ব রের্কড দেখতে চাইলে এক পর্যায়ে সকলের সামনে স্বীকার করে। তবে ফ্রি পেইড মিটারে লোড বাড়িয়ে দেওয়ার গ্রাহক রাজামিঞা কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেয়া ,কালিন্দিপুর ট্রান্সর্ফামার নষ্ট হওয়ার অজুহাতে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম। উল্টাপাল্টা করে ভাল মিটার নষ্ট করার ব্যাপক প্রমান রয়েছে। তিনি সার্বক্ষনিক মিথ্যা কথার ওপর নির্ভর দেখা গেছে।
রাজামিঞা মোবাইল ০১৫৫৩৬৪৪৮৮৮ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে রোযার আগে ।
রাঙ্গাপানি লম্বুনী এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এলাকাবাসীকে জানিয়েছে অনুমোদন করাছিল । ৮ এপ্রিল পোল লাইন সঞ্চালনের মালামালসহ কাজ করলেও অবৈধ কার্যক্রম বৈধতা নিতে তড়িঘড়ি করে নতুন তারিখে অনুমোদন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানিয়েছে ।
নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান বিদুৎ বিতরণ বিভাগে যোগদান করার পর দুর্নীতি বেড়ে গেছে । তিনি আগে বিদ্যুৎ প্রকল্পে ছিলেন। সেখানে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। হোটেল সুপ্রিয়ার একাংশের মালিক সাইফুল লেবুছড়ি জায়গায় মোটা অংকের বিনিময়ে অন্য স্থান থেকে পোল নিয়ে স্থাপন সঞ্চালন লাইন দেয়া হয়েছে । হোটেল সুপ্রিয়া থেকে বেশ কিছুদিন আগে ত্রি ফেইজ ফ্রি পেইড মিটার লোড বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্ত এখনো মিটার দেয়নি বলে ওমরা করতে যাওয়া সাইফুল ইসলাম সৌদি থেকে মেসেঞ্জারে কথা হয় ।
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমান ্কাছে উল্লেখিত বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে,তিনি বলে কি কি জানতে চান তা লিখিত ভাবে জানান ।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করা কপি আমার কাছে অনুলিপি আছে । লোকটা আমাদের সাথে ভাল সর্ম্পক রাখে না ,ঠিকমত মিটিং এ আসে না ।
রাঙামাটি জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্মিত কার্য্যলয়ে ডিডি জাহিদ কামাল বলেন, ঈদের পরে খোজ খবর নিচ্ছি ।