নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরব প্রবাসীদের আকামার মেয়াদ বাড়নোর আশ্বাস দিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে সৌদি এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
সৌদিসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের যাত্রা নিয়ে বিভিন্ন সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমাদের কয়েকবার সময় বাড়ানো হয়েছে। তিনি সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল কথা বলেছেন। তারা আশ্বাস দিয়েছেন তারা এটি কনসিডার করবে। পাশাপাশি যারা এখনো সৌদি আরব যেতে পারেন নি, তাদের আকামার মেয়াদ বাড়ানো হবে মর্মে সৌদি কর্তৃপক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছে। ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে একটি এজেন্ডা ছিলো কোভিড মহামারিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহিত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রীসভাকে অবহিতকরণ। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের যে ডাটা দিয়েছে তাতে দেখা গেছে মোট ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছিলো। এবং সেই তুলনায় ২০২০ সালে টার্গেট ছিলো ৭ লাখ ৫০ হাজার। কিন্তু করোনার কারণে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ২৭৩ জনের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। গত বছর এই সময়ে সংখ্যা ছিলো ৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন।
তিনি জানান, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে করোনার মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রেকর্ড ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যেটা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। আর ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মী সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৬ জন। বিদেশে যেসব কর্মীরা আছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দূতাবাস প্রচারণা চালাচ্ছে। ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনে বিদেশ থেকে যে ৫ হাজার ৯৭৪ কর্মী এসেছে, তাদের সবাইকে এয়ারপোর্টেই ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনাকালে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙালিরা দেশে ফিরছে। তাদেরকে অন্য কোনো দেশে অর্থাৎ যেসব দেশে বাঙালিদের কর্মসংস্থানের চাহিদা বা সম্ভাবনা আছে, সেসব দেশে মাইগ্রেশন দেওয়া যায় কিনা- সে ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও নতুন নতুন দেশ উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তানের মতো দেশে আমাদের নতুন নতুন সুযোগ আসতে পারে।