নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় রাঙামাটির এক সংবাদকর্মীসহ তিনজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে মামলার আরেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা বন্ড হিসেবে জামিন দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারিক তোফায়েল হাসান এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে রাঙাামাটি সরকারি মহিলা কলেজের একছাত্রীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্লীলতাহানির মামলার চার আসামি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিন আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত আসামি ও বাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনে মামলার তিন আসামি আলমগীর মানিক, মাসুদ পারভেজ নির্জন ও শহিদুল ইসলাম হৃদয়কে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। এছাড়া অন্যআসামি জাহেদা বেগমকে বিশেষ বিচেনায় জামিন দিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার বিষয়টি করে জানান রাঙামাটির এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় বিজ্ঞ আদালত তিন আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ এবং আরেক আসামি জাহেদা বেগমকে নারী এবং তার শিশু সন্তান থাকার কারণে বিশেষ বিবেচনায় জামিন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাঙামাটির দুই সংবাদকর্মী ও তাদের দুই সহযোগীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাঙ্গামাটি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী আর্জিয়া আলম (আখি)। আখি জেলা শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্বামী শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের জেলা প্রতিনিধি।
মামলার এজাহার বাদী উল্লেখ করেন, ‘প্রতারণামূলকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে আমি ও আমার স্বামীর আইডিতে ছদ্মবেশ ধারণ করে আপত্তিকর, মানহানিকর কমেন্ট করে হেয়প্রতিপন্ন ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে আসামিরা। পরবর্তীতে আইডি হ্যাক করে আমার ক্ষতির উদ্দেশে আইডি থেকে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে নেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন ভূয়া ফেসবুক আইডিতে আমার ছবি প্রকাশ করে আমাকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এরপরেও আমাকে এবং আমার স্বামীকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলা, আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণের হুমকি দেয় আসামিরা।’ মামলার চার আসামির মধ্যে জাহেদা বেগম (৪০) বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি, মো. আলমগীর মানিক (৩৮) এশিয়ান টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি। অন্য দুই আসামি মাসুদ পারভেজ নির্জন (২৪) ও শহিদুল ইসলাম হৃদয় (২৫) এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আলমগীর মানিকের সহযোগী।