কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের কুতুবদিয় চ্যানেলে ফিশিং ট্টলার ডাকাতিসহ ডুবিয়ে দিয়ে মালামাল লুট করে ৫ জেলে আপহরণের ২৪ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে।
কুতূবদিয়ার জেলেরা জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে “এফবি মায়ের দোয়া” নামক ফিশিং ট্টলারটি। গত ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌছলে ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র জলদস্যুরা
ট্রলারটিতে হামলা চালিয়ে জাল, মাছ, ডিজেল এবং মেশিনের মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে ৫ জেলেকে অপহরণ পূর্বক ট্টলার সাগরে ডুবিয়ে দেয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোরে পাঁচ জেলে ২৪ ঘন্টা আটক রাখার পরে ট্টলারসহ ৫ জেলেকে ফেলে রেখে চলে যায় জলদস্যুরা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপকূলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ট্টলারের মাঝি শফিউল আলম জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে কুতুবদিয়া উপকূলের উত্তর ধুরুং কায়ছারপাড়া এলাকা থেকে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসার পথে জলদস্যুরা তাদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করে ট্টলারটি ডুবিয়ে দিয়ে ৫ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেলে অবস্থানরত ৫ জেলে সাগরে ২৪ ঘন্টা ভাসামান অবস্থায় থাকে। পরে অপর একটি ফিসিং ট্টলার তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে উপকুলে নিয়ে আসে। সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধারকৃত জেলেরা হচ্ছে উত্তর ধুরুং এলাকার ছাবের আহমদের ছেলে রবিউল আলম (২৬) একই এলাকার সিরাজদ্দৌল্লাহ ছেলে ফোরকান (২১) অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে রবিবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান কুতুবদিয়া এবং বাশঁখালী উপকূলের কয়েকজন জলদস্যুকে চিনতে পারায় তাদেরকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ট্টলারটি ডুবিয়ে দেয়। তবে এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত ট্টলারের মাঝি শফিউল আলম বাদি হয়ে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করা হবে বলে জানান।এলাকার স্থানীয় ইউপির সদস্য মোঃ ছলিম উল্লাহ এই বেপারে অপহরণসহ ট্টলার ডুবিয়ে দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
রিপোর্টঃ সাজেদুল হোসাইন টিটু