বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ গণটিকা কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে রাজধানীর প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিলো উপচে পড়া ভিড়। সকাল ৯টায় টিকাদান শুরু হলেও, ভোর ৫টা থেকেই কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন ২৫ ঊর্ধ্বরা।
সোমবার (৯ আগস্ট) প্রতিটি কেন্দ্রে হাজারের বেশি মানুষ টিকা নিতে এলেও, নিতে পারছেন সাড়ে তিনশ’ জন। বাকিদের ফিরতে হচ্ছে টিকা না নিয়েই।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের পাশে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে হাজার খানেক মানুষের অধিকাংশই টিকা নিতে এসেছেন সেই ভোরে। তবে অধিকাংশ মানুষই ফিরেছেন টিকা না নিয়ে। কারণ প্রতি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারছেন সর্বোচ্চ সাড়ে তিনশ’ জন।
এই কেন্দ্রে টিকা দিতে পারা অনেকেই জানিয়েছেন, যারা ভোর পাঁচটা বা তার আগে এসে লাইনে দাড়িয়েছেন তারাই টিকা নিতে পেরেছেন। ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আসতে হয়। টোকেনে সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী লাইনে দাড়িয়ে টিকা দিতে হয়।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, টোকেন নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে। নিজেদের লোকদের আগে থেকেই টোকেন দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪ আর দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে প্রতিদিন টিকা নিতে পারছেন ৪৫ হাজার মানুষ। কিন্তু টিকার জন্য লাইন দিচ্ছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর টিকা না পেয়ে যারা ফিরে যাচ্ছেন তারা বলছেন, টিকার সংখ্যা না বাড়ালে সরকারের এমন উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছির বলছেন, “জনগণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। সাধারণ মানুষজন আগ্রহ নিয়ে টিকা দিচ্ছেন। তবে টিকার সংখ্যা কম থাকায় অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে। যারা আগে আসছেন তারাই পাচ্ছেন।”
তিনি জানান, বিশৃঙ্খলা রোধ করতেই টোকেন দেওয়া হচ্ছে। টোকেন নিয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে ৪ হাজার ৬শ’ টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ৪শ’ ৩৩টি ওয়ার্ডে এই টিকাদান কর্মসূচি চালছে। যেখানে দেয়া হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকা।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..