নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম মমিন ওরফে টুন্ডা মমিন, ওরফে গ্যাস মমিন গুলশান থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার।
শনিবার (২৭ মার্চ) গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির মামলায় মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে গুলশান থানা পুলিশ ৩৭৯ ধারায় চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে (মামলা নম্বর-১২)। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গুলশান থানা ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, মমিন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং চোরাকারবারি তার বিরুদ্ধে কড়াইল বস্তি এলাকায় গ্যাস চুরির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মমিন গুলশান-১ এ সাতাশ নম্বর রোডে গাড়ির পার্টস চুরির উদ্দেশ্যে গাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। এই সময় গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান তার গতিবিধি লক্ষ করতে থাকে। একপর্যায়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এসআই মশিউর গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মমিন চিহ্নিত গাড়ি চোর। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে অবৈধ গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বস্তির বিভিন্ন ঘরে সরবরাহ করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিতেও অবৈধ পন্থায় অর্থের প্রভাব খাটিয়ে বনানী থানা তাঁতী লীগের সভাপতি পথটি বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। অভিযোগ আছে মমিনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা সন্ধ্যার পর কড়াইল বস্তি থেকে নৌকার মাধ্যমে গুলশান-১ এ প্রবেশ করে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে সহসাই ওই নৌকাতে পার হয়ে আবার কড়াইল চলে আসে। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত মোমিনকে ধরা যাচ্ছিল না। কৌশলে মোমিনকে (২৭ মার্চ) গ্রেপ্তার করা হয়।