জাপান সরকার কোভিড-১৯’এর সংক্রমণ বেড়ে চলার মাঝে শুক্রবার টোকিও, ওসাকা, হিওগো ও কিওতো জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা দিয়েছে। রোববার থেকে কার্যকর হবে এবং ১১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সরকার এই এলাকাসমূহের অ্যালকোহল খেতে পারা এবং কারাওকে’তে গাইতে পারা বার এবং রেস্তোরাঁসমূহ বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে। সাবওয়ে এবং বাস সেবা বন্ধ থাকবে বা সংখ্যা কমানো হবে।
সরকার পশ্চিম জাপানের এহিমে জেলাকে জরুরি অবস্থা জারি না থাকলেও কঠোর করোনাভাইরাস রোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারা এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্তও নেয়।
করোনার চতুর্থ ঢেউ জাপানে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের দিক থেকে রাজধানী টোকিওকে ছাড়িয়ে গেছে বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ওসাকা। ওসাকার পার্শ্ববর্তী প্রদেশ হিয়োগো এবং কিয়োটো।
তবে, মিয়াগি, এহিমে এবং অকিনাওয়া এই তিন প্রদেশে জরুরি অবস্থা না থাকলেও কঠোরভাবে বিধিনিষেধের আওতায় আনার এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাইতামা, চিবা, কানাগাওয়া, মিয়াগি, অকিনাওয়া এবং আইচি প্রদেশসহ ১০টি এলাকা কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ছিল।
জরুরি অবস্থা চলাকালে রেস্তোরাঁগুলো রাত আটটার মধ্যে বন্ধ এবং কারাওকে ও এলকোহল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও স্পোর্টস এবং বিনোদনের যে কোনো ইভেন্ট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না বের হয়ে থাকতে প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী সুগা।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় জাপান স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। তবে, অপ্রয়োজনে বাইরে সময় দেওয়া, জনসংযোগ করা, জনসমাবেশ থেকে বিরত থাকাতে হবে।’
আজ টোকিওতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫৯ জনের। অপরদিকে ওসাকাতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল একা হাজার ১৬২ জন। জাপানে এ পর্যন্ত ৫,৫৩৮,৫২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৯,৮১১ জন।