নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৫বছরে বিচার হয়নি রাঙামাটির সাংবাদিক মো. জামাল উদ্দীন হত্যার বিচার। তাই আইনের উপর আস্থাহীনতায় পরেছে তার পরিবার। দীর্ঘ ১৫বছর ধরে মামলা চালু থাকলেও কোন কুলকিনার হয়নি এ হত্যাকান্ডের। গ্রেফতার করা হয়নি হত্যা মামরার কোন আসামীও। তা উদ্বেগ প্রকাশ সাংবাদিক পরিবার।
রবিবার ছিল সাংবাদিক জামাল উদ্দীনের ১৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে জামালের কবর জিয়ারত, দোয়া, কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে তার পরিবার।
রাঙামাটির তরুন সংবাদকর্মী জামালের ছোট বোন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪ প্রতিবেদক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরেও যে হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার হয়নি। সে হত্যা কান্ডের বিচার আদৌ বিচার হবে কি না, তা নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। আমার ভাই জামাল হত্যার পেছনে বড় কোন রহস্য লুকিয়ে আছে কি না তাও আমার জানা নেই।
মুমু আরও বলেন, আমি আমার ভাইয়ের লাশ দেখেছি। ক্ষত বিক্ষত ছিল পরো শরীর। আঘাতে আঘাতে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তবুও কেন এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের প্রশাসন ধরতে পারলো না। তা আমার জানা নেই। বিচার চাইতে চাইতে আমি হাপিয়ে গেছি। তদন্তের পর তদন্ত হলো। কিন্তু কোন রহস্য উন্মোচন করতে পানেনি তারা। বার বার হয়রানির শিকার হয়েছি। পাশে ছিলনা কেউ। একাই লড়েছি, লড়ছি!! আর কত? ২০০৭ সালে ৫মার্চ অপহরণ হয় আমার ভাই। এপর ৬মার্চ রাঙামাটির পর্যটন এলাকার একটি পাহাড়ে লাশ পাওয়া যায় আমার ভাইয়ের। ভাই খুন হওয়ার আগে তাকে যারা হুমকি দমকি দিতো তাদের নাম উল্লেখ করে সেসময় আমার ভাই একিিট মামলাও করেছিল। কিন্তু সে আসামীদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমার ভাই কখনো কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পেত না । কখনো আপোষ করেনি কোন অপরাধ-অপরাধীর সাথে। তাই হয়তো তাদের ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছে তাকে। বিচার না পেয়ে আমি আস্থাহীনতায় ভুগছি। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকার চাইলে নিহত সাংবাদিক জামাল হত্যার বিচার পাবোই।
পাশাপাশি প্রতিবছর এ দিনে সাংবাদিক সমাজ জামাল হত্যার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামাবেশের আয়োজন করে থাকলেও এ বছর করেনি। কারণ দীর্ঘ বছরেও বিচার না পেয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে নিহতের পরিবার । তারা বলছে, দীর্ঘ বছর ধরে এ হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ার কারণে আইনের উপর আস্থাহীনতায় পরেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০০৭সালে ৫মার্চ নিখোঁজ হয় রাঙামাটির সাংবাদিক মো. জামাল উদ্দীন। এপর ৬মার্চ রাঙামাটি পর্যটন এলাকার হেডম্যান পাড়ার জঙ্গলে তার রক্তাত্ব মরদেহ উদ্ধার করে তার পুলিশ। সাংবাদিক জামাল সে সময় পার্বত্যাঞ্চলের একজন আলোকিত সাংবাদিক ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগর পর্যন্ত দৈনিক বর্তমান বাংলা, বার্তা সংস্থা আবাস নিয়মিত ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে সাময়িক কর্মরত ছিলেন।