1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

দুবাই পালাতে চেয়েছিলেন ‘গোল্ডেন মনির’

  • Update Time : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩০০ Time View

প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া গ্রেফতার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের আজ রাতেই দেশ ছেড়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্যই ফ্লাইট ও টিকিট কনফার্ম ছিল। র‌্যাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আজই গোল্ডেন মনির দুবাইতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এজন্য তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে-৫৮৫) ফ্লাইটে মনিরের দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।

মনিরের ছেলে মোহাম্মদ রাফি হোসেন বলেন, বাবা প্রায়ই চিকিৎসার জন্য দুবাই যান। এবারও চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন, এজন্য তার ফ্লাইট ও টিকিট কনফার্মড ছিল। তবে মনিরের শারীরিক সমস্যা বা চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

রাফি বলেন, আমার বাবা নির্দোষ। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বাবার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দেয়া হচ্ছে সব ভিত্তিহীন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গোল্ডেন মনিরের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে। তার বিরুদ্ধে দুদক এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে।

শনিবার সকালে গ্রেফতারের সময় মনিরের বাড়ি থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা করে।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট, ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।

জানা গেছে, গোল্ডেন মনির নিজের নিরাপত্তায় লাইসেন্সকৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতেন। এর মধ্যে একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান। তবে বৈধ দুটি অস্ত্রের পাশাপাশি একটি অবৈধ পিস্তলও তার দখলে ছিল। যেটি তাকে গ্রেফতারের সময় তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। বিদেশ যাওয়ার জন্য নিজের লাইসেন্সকৃত দুটি অস্ত্র বাড্ডা থানায় জমাও দিয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, গোল্ডেন মনিরের অস্ত্র জমা দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা করবে র‌্যাব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..