এব্যাপারে উদ্ধার হওয়া মনি কর্মকার জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আমি আমার স্বামীকে খাবার খেতে দিয়ে টয়লেটে গিয়েছিলাম। আমাদের প্রায় প্রতিদিনই এতো রাতে খাওয়া হয়। একটু পরই আমার স্বামীর হৈ চৈয়ের শব্দ পাই। পরে আমি দৌড়ে টয়লেট থেকে বের হই। দরজা খুলে দেখি বাহিরে দাঁড়ানো ৭-৮ জন মুখোশ ও রেইনকোট পড়া লোক আমার দেবরকে এলোপাথারী কোপাচ্ছে। কোপে আমার দেবরের পেটের বিভিন্ন অংশ বের হয়ে গেছে।
আমি বের হওয়ার সাথে সাথে বোরকা পরিহত দুজন লোক আমার মুখ চেপে ধরে। যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি। সেই সাথে আমার মনে হলো আমার শরীরে কি যেনো পুশ করা হলো। সাথে সাথে আমি অজ্ঞাণ হয়ে যাই। এরপর আমার সাথে কি হয়েছে আমি জানি না। পরে আমি জ্ঞান ফিরে দেখলাম আমি হাসপাতালে। শুনলাম এলাকার লোকজন নাকি ভোরে আমাকে একটি পুকুরের পাড় থেকে তুলে জয়পাড়া ক্লিনিকে ভর্তি করেছে।
তাকে কোনো শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরোও জানান, আমাকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আমার সাথে কোনো যৌন নির্যাতন হয়নি বলে আমার মনে হচ্ছে। আহত মনি কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। পরে বিকালে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে নিহত তপনের বড় ভাই কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, দুর্বৃত্তরা চলে যাবার পর আমাদের ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তারা গুরুত্বর আহত অবস্থায় তপনকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেণ। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার রাতেই দোহার থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, দোহার সার্কেল এএসপি জহিরুল ইসলাম, দোহার থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন।
দোহার সার্কেলের এএসপি জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে তথ্য উপাত্ত আমলে নিয়ে তদন্ত করা হবে। শীঘ্রই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন