1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া এলাকার ৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা ক্ষেত

  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০
  • ১৭৩ Time View

ডেক্স রিপোর্ট

উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের প্রায় পৌনে চার শ বিঘা ভুট্টার খেত তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। সিংগার খালের মুখ বন্ধ থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত খালটির বন্ধ মুখ খনন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় চাষি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডাহিয়া ইউনিয়নে ধানের পরই অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল ভুট্টা। এবারও এই ইউনিয়নে ৪৫০ বিঘা জমিতে ভুট্টাচাষ হয়েছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে খেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহ শুরু হয়। মে মাসের শেষের দিকে পুরোদমে ভুট্টা উঠতে শুরু করে। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তে আম্পানের ঝড়ো হাওয়ায় প্রায় সব জমির ভুট্টাগাছ মাটিতে শুয়ে পড়ে। আম্পানের প্রভাবে একটানা বৃষ্টি হওয়ায় উজান থেকে ঢলের পানি সিংগার খাল হয়ে ডাহিয়া ইউনিয়নে ঢোকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি খাল উপচে ভুট্টার জমি তলিয়ে যায়। ফলে চাষিদের পক্ষে তড়িঘড়ি করে ভুট্টা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। খেতেই বেশির ভাগ ভুট্টা নষ্ট হয়ে যায়।

সরোজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক জমিতে ও বাড়ির আঙ্গিনায় এবং চলনবিলের বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক কৃষকের খামাল দেয়া ভুট্টায় টেগ (শিকড়) বের হচ্ছে। সড়কের আশ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের পানি উপচে অধিকাংশ জমির ভুট্টা তলিয়ে গেছে। শ্রমিকরা তলিয়ে থাকা এসব ভুট্টা সড়কে তোলার চেষ্টা করছেন।

ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, ‘আমার ২২ বিঘা জমিতে এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির পানি এসে জমে সব ভুট্টা নষ্ট হচ্ছে।’

একই গ্রামের গৃহিনী তাহেরা বেগম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। স্বামীও অসুস্থ। ঋণ করে তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলাম। তাও পানিতে ডুবে শেষ হয়ে গেছে।’

তিনিসহ গ্রামের অন্যান্য ভুট্টা চাষিরা চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিলশা এলাকার খালের বন্ধ মুখ খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..