1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পশ্চিমবাংলায় ৮ দফায় বিধানসভা ভোট, তীব্র ক্ষোভ মমতার

  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৪১ Time View

বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা : অবশেষে পশ্চিমবাংলা–সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট গ্রহণের দিন ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার দিল্লি থেকে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। তবে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কমিশন যে পশ্চিমবাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, তা এদিনের ঘোষণায় ফের প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরলে এক দফায় ভোট হলেও অসমে তিন দফায় ভোট হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় ভোট গ্রহণ হবে আট দফায়। এ ছাড়া নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের কাজে নজরদারির জন্য জোড়া পুলিশ পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে কমিশন। ওই দুই আইপিএস অবজার্ভার ছাড়াও একজন স্পেশ্যাল অবজার্ভার ও একজন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভারও নিয়োগ করছে তারা। যদিও আট দফায় নির্বাচন গ্রহণের ঘোষণা শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত হতে পারেনি অন্য বিরোধী দলগুলি।

পশ্চিমবাংলায় ২৯৪টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ শুরু হবে ২৭ মার্চ। শেষ হবে ২৯ এপ্রিল। ভোট গণনা ২ মে। প্রথম দফার ভোট হবে ২৭ মার্চ। এই দফায় ৩০টি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। ১ এপ্রিল ৩০টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায়। তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনের জন্য ভোট হবে ৬ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হবে চতুর্থ দফায়। এই দফায় ভোট হবে ৪৪টি আসনে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণ হবে ৪৩টি আসনে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ২৬ এপ্রিল ৩৬টি আসনে ভোট নেওয়া হবে। অষ্টম দফায় ভোট নেওয়া হবে ৩৫টি আসনে ২৯ এপ্রিল। কমিশনের এই ঘোষণার পরই মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘রাজ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বর্তমান প্রশাসনকে পুরোপুরি সরিয়ে দিয়ে ভোট করাতে হবে নিরপেক্ষ কমিশনকে নিযুক্ত করে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বর্তমান সরকারের আধিকারিকরা নিরপেক্ষ নন।’

তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আট দফায় ভোট কেন? কাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এত দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে?’ তাঁর অভিযোগ, ‘নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের কথায় কি নির্বাচন কমিশন কাজ করছে? আমি দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাই আমাকে হারাতে গোটা কেন্দ্রের সরকার নেমে পড়েছে।’ কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘বিজেপির চোখ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে দেখবেন না। কমিশনকে বলছি, টাকার খেলা বন্ধ করুন। আমরা কিন্তু সব বুঝতে পারছি।’ যদিও তাঁর অভিযোগের জবাব কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন দেখায়নি নির্বাচন কমিশন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার পাল্টা সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘২০১১ সালের কথা কি ভুলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্য ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাত দফায় নির্বাচন করানোর দাবি করেছিলেন কমিশনের কাছে। তা হলে আজ কেন তিনি আট দফায় ভোট করানোর বিরোধিতা করছেন? গত ১০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি করতে পারেননি। বরং রাজ্য জুড়ে তিনি দমবন্ধকর একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।’

বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেছেন, ‘আমরা চাই বাংলার মানুষ যাকেই ভোট দিন, শান্তিতে যেন দিতে পারেন। ভোট ঘিরে যেন কোনও রকম হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে। কমিশন বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। তাই আট দফায় ভোট করাচ্ছে। যারা মানতে পারছেন না, তাদের উদ্দেশ্য অন্য রকম। আট দফায় ভোট হলে তাদের হয়তো অসুবিধে হয়ে যাবে।’‌ প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর গলায়। তিনি নির্বাচন কমিশনের আট দফায় ভোট গ্রহণের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েও বলেছেন, ‘‌রাজ্যে আরও ভালো ভাবে ভোট করাতে হলে ১২ দফায় ভোট গ্রহণ করানো উচিত। পঞ্চায়েতে যে ভাবে এখানে ভোট লুঠ হয়েছে, যে ভাবে আড়াই বছর ধরে পুরসভাগুলোর ভোট করানো হয়নি, তাতে ১০–ও নয়, ১২ দফায় ভোট করানো উচিত ছিল কমিশনের।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..