প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির কারণে মাঠে জনসমাগম করে ফুটবল খেলতে নিষেধ করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে ক্লাব ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয় যুবকরা। পরে একই এলাকার আলাল বেপারির বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর করে তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ নবাবগঞ্জ থানায় ও আলাল বেপারি বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ করেছেন।
আলাল বেপারি জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুসের ছেলে ইছাক, তার ভাতিজা রুহুল ও আতিকসহ এলাকার যুবকরা বাহেরচর মোহাম্মদ আলী ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলছিল। তখন নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী পুলিশ তদন্তের সদস্যরা এসে তাদেরকে করোনা পরিস্থিতির কারণে খেলতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় তারা। পুলিশ উপস্থিত থাকা অবস্থায় ওরা প্রথমে ক্লাব ঘরের চেয়ার, কেরাম বোর্ড, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে আমার বাড়িতে এসে আমার বসতঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। ওদের ধারণা আমার ভাতিজা বাবু পুলিশে খবর দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি ১৫ জনের নামে বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করলে রাতে পুলিশ চারজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মোবাইল ফোনে বলেন, গ্রামে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। ওরা সুযোগ বুঝে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য পুলিশে অভিযোগ করেছে। বারুয়াখালী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মহিদুর ইসলাম শুক্রবার রাতে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।