নিজস্ব প্রতিনিধি উত্তরবঙ্গঃ বগুড়ার কাহালুর কলেজ ছাত্র খুন এবং লাশ গুমের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে আসামি গ্রেফতার করেছে কাহালু থানা পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আটক আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।পুলিশ জানায়, গত ০৭-০৯-২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ০৬.৪৫ ঘটিকায় কাহালু থানার মুরইল ইউনিয়নের ডোমরগ্রাম সাকিনের ডোমরগ্রাম খাঁ পুকুর কবর স্থানের পার্শ্বে মাটিতে পুতে রাখা কলেজ ছাত্র আল মাহমুদ @ আরমান হোসেন @ আন্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে কাহালু থানা পুলিশ।
তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা, বিপিএম বার মহোদয়ের নির্দেশনায় নন্দীগ্রাম সার্কেল এএসপি জনাব আহমেদ রাজিউর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ, কাহালু থানা জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মোঃ ওবাইদুর খান (৪০), পিতা আলহাজ্ব মোঃ নওশের খান, সাং ডোমরগ্রাম পূর্বপাড়া, থানা কাহালু, জেলা বগুড়া ও মোঃ সুজন (২২), পিতা- মোঃ আঃ রহমান প্রাং, সাং- সহলাপাড়া, থানা-ক্ষেতলাল, জেলা জয়পুরহাট(বর্তমানে জনৈক হিলারী এর মুরগী ফার্ম ও পুকুরের পাহারাদার )দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মোঃ সু জন জানায় আসামী মোঃ ওবাইদুর খান এর স্ত্রীর সাথে নিহত আল মাহমুদ @ আরমান হোসেন @ আন্নার পরকীয়া সম্পর্কের কারণে আসামী মোঃ ওবাইদুর খান কলেজ ছাত্র আন্নাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকার চুক্তিতে আসামী মোঃ সুজন অপর আসামী মোঃ ওবাইদুর খানের কথামত আন্নাকে গত রবিবার বাড়ীর পার্শ্বে ডেকে আনে। মোঃ ওবাইদুর খান সহ অজ্ঞাতনামা দুইজন মিলে আন্নাকে নেশাজাতীয় পানীয় খাওয়াইলে তার মাথা ঝিমঝিম করছে বলে জানিয়ে ওবাইদুর এর গোয়ালঘরে শুয়ে পড়ে এবং তাৎক্ষনিক মোঃ ওবাইদুর খান সহ অজ্ঞাতনামা দুইজন আসামী আল মাহমুদ @ আরমান হোসেন @ আন্নাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।পরে সুজন কোদাল ও অপর তিনজন মৃতদেহ সহ খাঁ পুকুর কবর স্থানের পার্শ্বে গিয়ে মাটি খুড়ে মৃতদেহটি পুঁতে রাখে।জেলা পুলিশ জানায়, আসামী সুজন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং অপর আসামী মোঃ ওবাইদুর খান এর ০৩ (তিন) দিনের পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।
জেলা পুলিশ আরো জানায়, অপরাধ করে জেলা পুলিশ বগুড়ার হাত থেকে পার পেয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।