খোকন হাওলাদার, গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরিশালে ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে ধর্ষণের (বলাৎকার) অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক আইনজীবীকে রবিবার বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৫৬ বছর বয়সী অভিযুক্ত আইনজীবী একেএম শামসুল হক। তিনি নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য। শনিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন নগরীর কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা এক যুবক।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মামলাকারী যুবককে অনেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ব্যক্তি বললেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি গত ৮ মাস ধরে তার সঙ্গে জোর করে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে আসছেন আইনজীবী শামসুল হক। এমন একটি ভিডিও ক্লিপও তিনি পুলিশকে দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর ওই রাতেই আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগকারী যুবককে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রবিবার সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক। ভিকটিমের শারীরিক এবং ডায়াগনোসিস পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে পাঠানোর কথা বলেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রেফায়েতুল হায়দার।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা এ ঘটনাকে একজন সিনিয়র আইনজীবীর নৈতিক অবক্ষয় দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি মামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওই আইনজীবীর সনদ বাতিলের দাবি জানান।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আফজালুল করিম জানান, পুলিশের তদন্তে ওই আইনজীবীর অপরাধ প্রমাণিত হলে বিষয়টি নিন্দনীয় হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এর দায় ব্যক্তির ওপর বর্তায়। আইনজীবী সমিতি কোনোভাবেই এর দায় নেবে না।
তবে যুবকের সঙ্গে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের হেফাজতে থাকা আইনজীবী শামসুল হক।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..