নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতাররা হলেন- শাহীন, রফিকুল ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ, আক্তারুল ও বাবলু।
সিআইডি জানিয়েছে, আসামিরা নারীদের ভারত ও মালয়েশিয়ায় চাকরি দেয়ার প্রলোভনে নিয়ে যেত। এরপর অসামাজিক ও অনৈতিক কাজের জন্য জোর করে ভারতে দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করতো। এ পর্যন্ত অন্তত ২০ নারী ভারতে পাচারের কথা জানিয়েছে চক্রটি। তারা নারীদের মালয়েশিয়া ও ভারতে চাকরি দেয়ার কথা বলে যশোর সীমান্ত এলাকায় রফিকের বাসায় নিয়ে রাখতো। এরপর তারা ভারতে তাদের পাচার করতো। তাদের ভারতের গুজরাটের রাজকোট এলাকায় পাচার করা হত বলে জানা গেছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, গ্রেফতার হওয়া শাহীন মূলত গাড়ি চালক। সে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নারীদের সংগ্রহ করে চাকরির কথা বলে গাড়িতে করে ঢাকার বাইরে নিয়ে যেত। যশোরের সীমান্ত এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে থাকা চক্রের সদস্য রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে তার জিম্মায় রাখা হতো। এরপর রফিকুলের আরও এক সহযোগী বিপ্লব সেখান থেকে যশোর সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিত। সেখান থেকে নারীদের পাচারের জন্য নৌকায় করে পারাপারের কাজ করতেন বাবলু।
আসামিদের বরাতে তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারীদের চেতনা নাশক ইনজেকশন দেয়া হতো।সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো।
ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি বলেন, এর আগে এই চক্রের মুলহোতা জান্নাতুল ওরফে জেরিন ও মহসিনুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ঢাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। টার্গেটকৃত নারীকে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করতেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।