নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুয়া চিকিৎসক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদলাত। এসময় ছয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলীর তিনটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেয়ালে টাঙ্গানো রয়েছে হাত-পা ভাঙ্গা রোগির চিকিৎসা পত্র। যা দেখে চিকিৎসা দিতেন ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেন। রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত এই হাসপাতালের মালিক এইচএসসি পাশ। তিনি র্দীঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছেন।
ভুয়া চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ নূরজাহান অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধেও। হাসপাতালটির মালিক বাবুল হোসেন ওরফে কালা বাবু অতীতে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী বাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর কাজ করতেন। এ অপরাধে তার সাজাও হয়। একই চিত্র মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালের। হাসপাতালটির মালিক নূর নবী নিজেই দিতেন চিকিৎসা পরামর্শ।
বুধবার গভীর রাতে মোহাম্মদপুর ও শ্যামলীর কয়েকটি হাসপাতালে একযোগে অভিযান চালায় র্যাব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানে বেরিয়ে আসে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, বাণিজ্য ও অনিয়মের নানা চিত্র। অল্প খরচে ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান ভুক্তভোগিরা।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই এই অভিযান। অভিযানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দালালসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও হাসপাতাল সিলগালা করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।