নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী এলাকায় চাঞ্চল্যকর কিশোর আরিফ (১৬) হত্যা মামলার আরেক আসামী টিপু (১৮) কে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় মহাখালী কাঁচাবাজারের সামনে আরিফকে হত্যা করা হয়। এ সময় হাসান ও সোহাগ নামে আহত হয় আরও দুজন। নিহতের বাবা কবির হোসেন জনি, নুরু, জোনাকি ও টিপুকে আসামি করে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, বর্ণিত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র্যাব-১ তাৎক্ষনিকভাবে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৪ জানুয়ারি) আনুমানিক সাড়ে ১২টায় র্যাব-১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী কাঁচাবাজার জনস্বাস্থ্য ইনস্ট্রিটিউট এর প্রথম গেইটের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী টিপু (১৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
আসামি টিপুর পিতা মৃত শফিকুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ রানী বেগম, গ্রাম- গুচ্ছগ্রাম, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- সাততলা বস্তি (মহাখালী), স্বপন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-বনানী, ঢাকা।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে এই হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলো, নিহত আরিফের বন্ধু জনি ও জোনাকি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি, রাত আনুমানিক ৯:১৫টায় রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী কাঁচা বাজারের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামি টিপু, জনি, নুরু ও জোনাকীসহ অজ্ঞাতনামা তাদের সহযোগীদের সাথে জনৈক হাসান ও সোহাগের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি টিপুসহ তাদের সহযোগীরা ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরে জনৈক হাসান ও সোহাগের মাথা ফাটিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এরপর জনৈক সোহেল হাসানের ভাই রবিনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রবিন ও তার বন্ধু ভিকটিম আরিফ বর্ণিত স্থানে ছুটে আসে। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামী টিপু ও তার সহযোগীরা ভিকটিম আরিফকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে জনি ভিকটিম আরিফের বুকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করতঃ রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিম আরিফকে মূমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভিকটিম সেখানে মৃতুবরণ করে।