নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
১) ছালাউদ্দিন (ইলেকট্রিশিয়ান) ৩০০টি ঘর
২) আকরাম (অফিস সহায়ক) ২৫০টি ঘর
৩) জামাল (পরিচ্ছন্ন কর্মী) ১৬০ টি ঘর
৪) রিয়াজ উদ্দিন বাবু (সুইপার) ১৩৫ টি ঘর।
রাজধানীর মহাখালী সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালের ৩৫ একর সম্পওির মধ্যে ৩০ একর জমিতে ৪ জনের দখলে গড়ে উঠেছে স্টাফ মহল্লা। সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালের বেদখলী সিংহভাগ জায়গা উক্ত হাসপাতালের কর্মরত ৪র্থ শ্রেনীর চারজন কর্মচারীর দখল দারিত্বে আধিপত্য সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে। কোনো বদলী ব্যতিত দীর্ঘদিন যাবত একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় সময়ের বিবর্তনে ধীরে ধীরে দখল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে বসতি স্থাপন শুরু করে এই চার গ্রাসকারী। দখল গ্রাসে যার উপরে গুরুদেব আশির্বাদ বেশি রয়েছে সে একটু বেশি দখলের সুযোগ পেয়েছে আর এভাবেই সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালের প্রায় ৩০ একর জমি ৪ জন গ্রাসকারীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দখল সাম্রাজ্যের গ্রাস বন্টন অনুযায়ী ৪ চার খলিফার মধ্যে ছালাউদ্দিনের ঘর সংখ্যা ৩০০টি। প্রতিটি ঘর বহিরাগত লোকজনের কাছে দুই হাজার পাঁচশত টাকা করে ভাড়া দিয়ে তার প্রতি মাসে আয় ৭ লক্ষ টাকা। আকরাম এর রয়েছে ২৫০ টি ঘর। তিন হাজার টাকা করে প্রতিমাসে আয় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জামালের ঘর ১৬০ টি। ঘর প্রতি ভাড়া দুই হাজার টাকা। প্রতি মাসে আয় ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। রিয়াজ উদ্দিন বাবু তার ঘরের সংখ্যা ১৩৫ টি। প্রতি ঘরের ভাড়া দুই হাজার পাঁচশত টাকা। মাসে আয় ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা।
দখল দারিত্বে আধিপত্য সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করলেও অধিপতিরা কেউ তাদের দখল রাজ্যে বসবাস করেন না। এদের মধ্যে কেউ অভিযাত এলাকায় ভাড়া থাকেন। আবার কেউ রাজধানীর আশপাশে করেছেন বাড়িঘর সহ অঢেল সম্পওি। চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী অথচ নিকেতনে ৬০ হাজার টাকায় ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকেন।
দখলে থাকা এসব অধিকাংশ ঘরে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ তবে নাম মাএ অস্থায়ী বিদ্যুৎ মিটার থাকলেও বৃহৎ অংশ ঘরের সংযোগ অবৈধ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। দখল সাম্রাজ্যের কোনো হোল্ডিং নম্বর না থাকলে কি হয়েছে! নাগরিক সুবিধা অনুযায়ী গ্যাস ও পানি ব্যবহারের নিরবিচ্ছিন্ন সকল সুবিধা ভোগ করে এখানে বসবাসকারীরা। এভাবেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের অপব্যবহার চলছে। বিশেষ একটি সূএে জানা যায়, এই চার ব্যাক্তি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহা-পরিচালকের ড্রাইভার মালেকের অপকর্মের একান্ত সহচর। এই ৪ জনের মধ্যে একজনের কোনো কারনে ঢাকার বাহিরে বদলী হলে মালেকের সহায়তায় মাএ কয়েকদিন পরেই পূণরায় সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালে ফিরে আসেন। এভাবেই বদলী ব্যতিত একই স্থানে স্থায়ী কর্ম প্রতিজ্ঞায় নিজেদের অবস্থান অটুট রেখে দখল দারিত্বে আধিপত্য বিস্তার করে চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
উক্ত বিষয়ে সংক্রমন ব্যাধির তও্বাবধায়ক ডাঃ মিজানুর রহমানকে অবগত করলে তিনি বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।